বরিশালের উজিরপুরে মেহেদী হাসান মিঠু নামে এক যুবককে অমানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে উজিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অন্তর আহমেদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) উপজেলার মুণ্ডপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মেহেদী হাসান মিঠু উজিরপুর উপজেলার মুণ্ডপাশা গ্রামের বাসিন্দা। উপপরিদর্শক (এসআই) অন্তর আহমেদ উজিরপুর থানায় কর্মরত।
পরিবারের অভিযোগ, মিঠু বর্তমানে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন যন্ত্রণায়, হারিয়েছেন মানসিক ভারসাম্য। চিনতে পারছেন না পরিবারের সদস্যদের, এমনকি চিনতে পারছেন না নিজের স্ত্রী-সন্তানকেও।
জানা গেছে, মুণ্ডপাশা গ্রামে বাড়ির পাশে বসে বন্ধুদের সঙ্গে মোবাইলে লুডু খেলছিলেন মিঠু। এ সময় উজিরপুর থানার এসআই অন্তরসহ দুই পুলিশ সদস্য হাজির হন সেখানে। তখন মেহেদীদের বিরুদ্ধে জুয়া খেলার অভিযোগ তোলেন তিনি। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা হওয়ার একপর্যায়ে এসআই অন্তর কাছে থাকা রিভলবার দিয়ে মেহেদীর মাথায় একাধিক আঘাত করেন। এতে মেহেদীর চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হন। পরে মেহেদীর বিরুদ্ধে জুয়া খেলার অভিযোগ তোলা হয়, দেওয়া হয় আটকের হুমকি। পরে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে দফারফা করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এসআই অন্তর ভুক্তভোগী মেহেদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তার মাথায় রিভলবার দিয়ে অনেক আঘাত করেন। মাথার সব জায়গায় আঘাত করেন ওই এসআই। আরেক নারী বলেন, নির্যাতনের সময় এসআই অন্তর মেহেদীর নাক ও গলা চেপে মুখের মধ্যে পিস্তল ঢুকিয়ে দেন।
মেহেদীর স্ত্রী বলেন, জুয়া খেলায় আটকের হুমকি দেখিয়ে এসআই আমাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। আর এ ঘটনা কোনো পুলিশ ও মিডিয়াকে না জানানোর শর্তে জবানবন্দি নেন।
এ বিষয়ে জানতে এসআই অন্তরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উজিরপুর থানার ওসি মো. আবু জাফর বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। ঘটনাটি সঠিক নয়।
বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজোয়ানুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা অবশ্যই এসআই অন্তরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন