লিজা, শুভ, প্রতীক, কাউসার, আনিছ, দোয়েল, সাখাওয়াত, নাবিদ, কাদের, সাফওয়ান ও সাদমান ওরা ১১ জন। পুলিশে যোগদান ছিল তাদের জন্য স্বপ্নের মতো। অবশেষে তাদের সেই স্বপ্ন ধরা দিয়েছে। মাত্র ১৩০ টাকার বিনিময়ে অনলাইনে আবেদন করে যাছাই বাছাই শেষে নিয়োগপ্রাপ্ত হন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মিরসরাই থানার ভাগ্যবান ১১ তরুণ। উপজেলার মিরসরাই থানা এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নে পুলিশে নিয়োগপ্রাপ্ত এই ১১ জন কন্সটেবলদের বাড়ি। শুক্রবার (১৪ জুন) মিরসরাই থানা পুলিশ এ ১১ জন নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশে সদস্যদের নাম প্রকাশ করেছেন। পুলিশে নিয়োগ পাওয়া ১১ তরুনকে সন্ধ্যায় মিরসরাই থানা প্রাঙ্গণে উচ্ছ্বাসিত অবস্থায় দেখা যায়। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রতীক বড়ুয়ার কাছে তার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরে পুলিশের কন্সটেবল পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর একটা দোকানে গিয়ে আবেদন করি। এরপর আমাদের যাছাই বাছাইয়ের দিনক্ষণ জানানো হয়। মৌখিক, লিখিত, শারীরিক ও মানসিক এবং মেডিকেল সব পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আসলে চাকরিটা আমার খুব প্রয়োজন ছিল। মাত্র ১৩০ টাকার বিনিময়ে সোনার হরিন পাবার জন্য চেষ্টা করি। অবশেষে সফল হয়েছি।’ নিয়োগপ্রাপ্ত শুভ, দোয়েল, কাউসারসহ অন্যান্যরা জানিয়েছে, আমরা দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে চাই। সরকার আমাদের উপর যে দায়িত্বভার দিয়েছেন তার যথাযথ মূল্যায়ন করে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় সারাটা জীবন কাজ করে যাবো।
মিরসরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ রায় বলেন, সম্পূর্ন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অনিয়ম-দুর্নীতিমুক্ত ভাবে এই ১১ জন পুলিশে কন্সটেবল পদে চাকরি পেয়েছেন। চাকরি পেতে তাদের কারও কাছে ধরনা দিতে এমনকি কোনো টাকা-পয়সা লেনদেন করতে হয়নি। শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন খরচ ১৩০ টাকা সেটাই লেগেছে।
এ ছাড়া সদ্য নিয়োগ পাওয়া তরুণদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ রায়।
মন্তব্য করুন