মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৪, ১১:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কমতে শুরু করেছে মৌলভীবাজারের নদ-নদীর পানি

বন্যার পানিতে তলিয়ে মৌলভীবাজার-শমসেরনগর আঞ্চলিক মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ছবি : কালবেলা
বন্যার পানিতে তলিয়ে মৌলভীবাজার-শমসেরনগর আঞ্চলিক মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ছবি : কালবেলা

মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়ে বিপৎসীমার ওপরে থাকা মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।

শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজার জেলায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

পাউবো সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টার মনু নদীর রেলওয়ে ব্রিজের পানি বিপৎসীমার ২৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

চাঁদনীঘাট ব্রিজে মনুর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদীর রেলওয়ে ব্রিজের পানি বিপৎসীমার ২৭৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর শেরপুর ব্রিজে পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করেছে। এদিকে জুড়ী উপজেলার জুড়ী নদীর ভবানীপুর ব্রিজে পানি বিপৎসীমার ২০৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ, উজানের পাহাড়ি ঢল ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাত উপজেলার প্রায় ৪০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা হয়েছে। একইসঙ্গে ধলাই নদীর তিনটি পুরোনো ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। গ্রামীণ রাস্তা ডুবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পানিবন্দি প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। অনেকে বাড়ি ঘর ছেড়ে পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।

এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখানে অবস্থান করছে ১ হাজার ৫১৩টি পরিবার। তাদের দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার, চাল, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। গঠন করা হয়েছে ৭০টি মেডিকেল টিম। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিরা রান্না করা খাবার ও শুকনো খাবার নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেছেন, মৌলভীবাজারে গত দুই দিন ধরে বৃষ্টি কম হয়েছে। এ ছাড়া উজানে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জেলার নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নদীর ঝুঁকিপূর্ণ স্পটগুলোতে বালু ভর্তি বস্তা ও মাটি দিয়ে ঝুঁকিমুক্ত রাখার কাজ চলমান রয়েছে।

জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম জানান, জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে রয়েছে। পানিবন্দি এলাকার মানুষের সাহায্যে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যাদের বাড়িতে বেশি পানি এমন প্রায় ১৫শ’ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। শুকনো খাবার ও চাল দেওয়া হচ্ছে তাদের। এ ছাড়াও পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সড়কে খানাখন্দ, দুর্ভোগ লাখো মানুষের

নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি মানসী

কলকাতায় টানা ৩ দিন দুর্যোগের সতর্কতা

২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ : কোন দেশে কত ম্যাচ জানিয়ে দিল আইসিসি

সপ্তাহের সেরা সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি, পদ প্রায় ১৬০০

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

জুমার খুতবার সময় কি মোবাইল ব্যবহার করা যাবে?

দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি

ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিচ্ছে ফিফা, যেভাবে করবেন আবেদন

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিবের যোগদান

১০

লিড প্লাটিনাম সনদ পেল ওয়ালটন

১১

ইরানের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞা

১২

মসজিদে হারাম ও নববিতে আজ জুমা পড়াবেন যারা

১৩

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর প্রথম সামরিক মহড়ায় ইরান

১৪

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন ফাঁদ তৈরি করছে উত্তর কোরিয়া

১৫

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৬

২২ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৭

চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

১৮

শুক্রবারে মারা গেলে কি কবরের আজাব মাফ হয়?

১৯

বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে

২০
X