জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এবার ২৯টি জীবিত বাচ্চাসহ পাওয়া গেল রাসেলস ভাইপার

২৯টি বাচ্চাসহ রাসেলস ভাইপার সাপ। ছবি : কালবেলা
২৯টি বাচ্চাসহ রাসেলস ভাইপার সাপ। ছবি : কালবেলা

নীলফামারীর জলঢাকায় একটি রাসেলস ভাইপার ধরা পড়ায় এলাকাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে। সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১১টায় উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের আলশিয়া পাড়া তিস্তার বাঁধে একটি নৌকার নিচ থেকে রাসেলস ভাইপার সাপটির দেখা মেলে।

পরে স্থানীয়রা খোঁচা দিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলেছে। সাপটিকে মেরে ফেলার পর সাপটির পেট থেকে একে একে ২৯টি বাচ্চা বের করা হয়। তবে সাপটি মেরে ফেললেও উপজেলার সর্বত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে রাসেলস ভাইপার সাপের আতংক দেখা দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কয়েক দিন ধরে উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী চরাঞ্চলে বসবাস করা মানুষেরা নৌকা ব্যবহার করতে পারেনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া খবরে এ সাপের আতংকে সজাগ রয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষজন। তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে নৌকা সরাতে গেলে ফুঁসে ওঠে একটি সাপ। তারপর খোঁচা, বল্লম নিয়ে সাপটিকে আঘাত করলে সাপটি মারা যায়। পেটের ভেতর কিছু নড়াচড়া করতে দেখে সাপটির পেট কেটে ফেলা হয়। পেট কাটতেই বেরিয়ে আসে ২৯টি তাজা বাচ্চা। যা রীতিমতো আতংকিত করেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

নৌকার মালিক মো. তাজমুল হোসেন বলেন, নৌকা সরাতে গেলে একটি সাপ বেরিয়ে আসে। দুই-তিনজন মিলে তাকে মেরে ফেলি। তারপর পেট কেটে ২৯টি বাচ্চা বের করা হয়। বাচ্চাগুলো জীবিত ছিল।

রহমতুল্লাহ নামের একজন জানান, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় একটি সাপ মেরে ফেলি। পরে শুনলাম এটি নাকি রাসেলস ভাইপার সাপ।

কৈমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. হাফিজুল ইসলাম (হাফি) তার এলাকায় রাসেলস ভাইপার সাপ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শোনামাত্রই সবাইকে কল দিয়েছি। আমি নিশ্চিত এটা রাসেল ভাইপার সাপ। উপজেলা বন কর্মকর্তাকে কল দিয়েছি কিন্তু কেউ আসেনি। যেহেতু এলাকার মানুষ আতংকিত তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফেরদৌসুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন।

জলঢাকা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জোবায়ের আলমের মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন বলে ফোন কল কেটে দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টিকাটুলিতে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

বিয়ের প্রলোভনে ‘ধর্ষণ’, পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করতে যান ছাত্রদল নেতা, অতঃপর...

ছাত্রীদের হলে পুরুষ স্টাফ দিয়ে তল্লাশি

দাম কমলো ইন্টারনেটের

ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা কতটা উপযোগী, ভাবার অনুরোধ তারেক রহমানের

বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

জুলাই নিয়ে পুলিশ সদস্যের ‘আপত্তিকর’ পোস্ট, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

শাহজালালে বোয়িং বিমানে লাগেজ ট্রলির আঘাত

১০

আখতারকে রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

১১

মধ্যরাতে বরখাস্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার

১২

‘একসঙ্গে সমুদ্রে নেমে তো গোসল করতে পারব না’

১৩

জুলাই যোদ্ধার তালিকায় এক ব্যক্তির নাম ২ জায়গায়

১৪

বিএনপির অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনায় মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদ

১৫

রাজধানীতে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে লায়ন্স ক্লাবের খাবার বিতরণ

১৬

জামায়াত-গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় / নির্বাচনী জোট গঠনে একমত

১৭

উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, মাদ্রাসার সুপার কারাগারে

১৮

তারেক রহমান নেতৃত্ব না দিলে জুলাই আন্দোলন সফল হতো না : মুরাদ

১৯

চট্টগ্রাম নগরীতে ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেপ্তার

২০
X