কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত কমিশন কেন নয় : হাইকোর্টের রুল

বিডিআর সদরদফতরে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। ছবি : সংগৃহীত
বিডিআর সদরদফতরে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার পিলখানায় ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের সময় হত্যাকাণ্ডের মামলায় পুনঃতদন্ত কমিশন কেন নয় তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। আদালত একইসঙ্গে পিলখানা হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (৪ নভেম্বর) বিডিআর বিদ্রোহের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত কার্যক্রম নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত হবে এবং অবশ্যই হতে হবে। দ্রুতই তদন্ত টিম করা হবে। যেহেতু অন্যান্য অনেকগুলো হচ্ছে, এটাও হয়ে যাবে।

এ ছাড়া গত রোববার (৩ নভেম্বর) পিলখানা হত্যার নেপথ্যের কারণ উদঘাটনে পুনঃতদন্ত কমিশন হয়েছে কি না তা রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদরদপ্তরের সংঘটিত বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।

হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার কাজ শেষ হয়েছে। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে এবং বিভিন্ন মেয়াদে ২২৮ জনকে সাজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ২৮৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

হাই কোর্টের রায়ের পূর্বে ১৫ জনসহ মোট ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাই কোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০১০ সালে ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে এ মামলার বিচার ঝুলে যায়। তবে শাসন ক্ষমতার পরিবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম কি স্বাভাবিক হল?

‘তারুণ্যের শক্তিই দেশি—বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দেবে’

তেঁতুলিয়া সীমান্তে নারীসহ আটক ৫ বাংলাদেশি

কাজ করছেনা ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম

ভাসানী এক মহীরুহের অগ্নিক্ষরা সংগ্রামী জীবন : বাংলাদেশ ন্যাপ

ট্রাকচাপায় নিহত ২ মোটরসাইকেল আরোহী

নির্বাচনের আগে দুটি বিষয়ের সমাধান চান জামায়াত আমির

আসিফ নজরুলকে ‘র’ এজেন্ট বলায় আসিফ মাহমুদের প্রতিক্রিয়া

আপনাদের স্বার্থ নিয়ে থাকেন, ভারতকে মো. শাহজাহান

শিশুকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষককেও’ পিটিয়ে মারলেন এলাকাবাসী

১০

বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি

১১

নওগাঁয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ

১২

‘দেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে তারেক রহমান কাজ করছেন’

১৩

দামেস্কের কাছে পৌঁছে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী

১৪

এনআইডি করতে গিয়ে রোহিঙ্গা নারীসহ আটক ৩

১৫

কলকাতায় হাহাকার, বাংলাদেশিদের অভাবে পথে বসছেন ব্যবসায়ীরা

১৬

আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানের কাছে মিরাজ

১৭

লংমার্চে লাখো নেতাকর্মীর ঢল / ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দেওয়ার প্রত্যয় বিএনপির তিন সংগঠনের 

১৮

চাটমোহরে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ

১৯

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে সরে দাঁড়ালে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে পিসিবি

২০
X