কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৫, ০১:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নীতিমালা ছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা প্রশ্নে হাইকোর্টে রুল

হাইকোর্ট। ছবি : সংগৃহীত
হাইকোর্ট। ছবি : সংগৃহীত

কোনো নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে সোমবার (৩ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহসীন কবীর রকি।

এর আগে, আদালতের রায়ে চূড়ান্তভাবে দণ্ডিত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি বা নির্বাহী বিভাগের ক্ষমা প্রদর্শনের একচ্ছত্র ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপারিশ করে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এর জন্য একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠা ও সেই বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে ক্ষমা প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা সুপারিশে বলা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি সংস্কার কমিশন ওই সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাখিল করা হয়।

এরপর গত ২০ জানুয়ারি কোনো নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে ক্ষমা করার ক্ষমতার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগে নীতিমালা করার আবেদন জানানো হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমা করার ক্ষমতা অবাধ, যার কোনো নীতিমালা নেই। কে, কীসের ভিত্তিতে ক্ষমা পাচ্ছেন তার কোনো নীতিমালা নেই। যা সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইতোমধ্যে এই ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে অনেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্ষমা পেয়েছেন। যার মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধানের ভাই জোসেফ, আসলাম ফকির অন্যতম।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, বছরের পর বছর রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করার ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ক্ষমা করা হয়েছে। এর ফলে, সাধারণ জনমনে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা হয়। ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়। এই ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে, নীতিমালা প্রণয়ন করা আবশ্যক।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পার্লামেন্ট সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়। সোমবার (৩ মার্চ) ওই রিটের শুনানি করে রুল জারি করে হাইকোর্ট।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব

জনপ্রিয় ব্রিটিশ পত্রিকায় বাংলাদেশ নারী দলের প্রশংসা

ইউআরপি ও ডিএলআর মডিউল প্রস্তুত / মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে

রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প

ময়মনসিংহ থেকে বাস চলাচল শুরু, ভাঙচুরের ঘটনায় কমিটি

আইপিএলে ভালো করলেও ভারত দলে জায়গা নিশ্চিত নয়

ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে 

দুই শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় আহমাদুল্লাহর উদ্বেগ

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

১০

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

১১

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

১২

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

১৩

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

১৪

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

১৫

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

১৬

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

১৭

ছাত্র সংসদের দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ ঘিরে বিভক্ত বেরোবির শিক্ষার্থীরা

১৮

বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন : লায়ন ফারুক

১৯

গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর

২০
X