রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২১ পিএম
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পাগলের মতো চিৎকার চেঁচামেচি করলেন হাজি সেলিম

আদালত ভবনে হাজি সেলিম। ছবি : সংগৃহীত
আদালত ভবনে হাজি সেলিম। ছবি : সংগৃহীত

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শুনানিতে গিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে চেঁচামেচি করলেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিম।

বুধবার (০৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে তাকে তোলা হয়। এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপি আসামিরাও ছিলেন। তবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের আইনজীবীর প্রতি হঠাৎ ক্ষেপে যান হাজি সেলিম। এসময় এতোই রেগে যান যে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। পরে তাকে বুঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করেন। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় হাজি সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

হাজি সেলিমের চিৎকার শুনে এজলাসে উপস্থিত অন্যরা হতবাক হয়ে যান। হাজি সেলিমের মেজাজ হারানোর বিষয় তার আইনজীবীর সঙ্গে এ সময় কথা বলেন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান।

সাদেক খান তখন আইনজীবী প্রাণ নাথ রায়কে উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কারাগারে সমস্যায় রয়েছেন হাজি সেলিম। হাজি সেলিমের কথা কারাগারে কেউ বোঝেন না। খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে হাজি সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ বলেন, আমার মক্কেল কথা বলতে পারেন না। কারাগারে খাবার খেতে পারেন না। কাউকে কোন কিছু বুঝাতে পারেন না। এই অভিমানে আমার ওপর রেগে গেছিলেন। এজন্য তিনি ওকালত নামায় স্বাক্ষর করতে চাচ্ছিলেন না। কিছুক্ষণ বুঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করেন। তাকে বলেছি, সিস্টেমের বাইরে তো কিছু করতে পারব না।

তিনি আরও বলেন, আমার মক্কেলকে ১৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এখনো ১০ দিনের রিমান্ড পেন্ডিং রয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজ নিচে ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। পরে বিকেলে আসামিদের আক্রমণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নারীসহ ফার্মাসিস্ট আটক

৮ দিন পর খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদারকে ডেকে নিয়ে মারধর

মাউন্ট-সেশকোর গোলে ম্যানইউর স্বস্তির জয়

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিবু প্রসাদ গ্রেপ্তার

‘শহিদুল আলম ও গাজার পাশে আছি-থাকব’

রেবতী মহাজন বাড়ির বিজয়া সম্মিলনী

জামায়াত ধর্মের জন্য ক্ষতিকর : আমিনুল হক

এভারেস্ট বেজ ক‍্যাম্প সামিট ৮ বাংলাদেশির

তারেক রহমানের ৩১ দফায় দেশের উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা : আবু বকর সিদ্দিক

১০

মানবাধিকার কর্মীদের আটকের ঘটনা কলঙ্কজনক অধ্যায় : মুহিউদ্দীন রাব্বানী

১১

শিয়ালের কামড়ে মেম্বারসহ আহত ১১

১২

কাশফুলের গালিচায় মোড়া বরিশালের বিসিক

১৩

উপ-সহকারীর ভরসায় চলছে ২০ শয্যার হাসপাতাল

১৪

মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক 

১৫

নদীর স্রোতে তলিয়ে গেল ৩ বোন

১৬

‘ভারতের মানচিত্রও মুছে যাবে’, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি

১৭

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : আনোয়ারুজ্জামান

১৮

প্রধান উপদেষ্টা ও ওসিকে হত্যার হুমকি যুবলীগ নেতার

১৯

অ্যানথ্রাক্সে মরছে গরু, আতঙ্কে কমেছে মাংস বিক্রি

২০
X