কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫, ১২:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাবিবুলের সঙ্গে হুদার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি : সংগৃহীত
কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি : সংগৃহীত

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন এ মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার ফের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে। ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত ২৩ জুন নুরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পরে বুধবার রাজধানীর মগবাজার থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি।

পরবর্তী সময়ে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি একে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তিন নির্বাচনে 'গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়।

সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

এ ঘটনার সাক্ষী সব ভোটকেন্দ্র এলাকার ভোটার এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যরা। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসার, স্থানীয় লোকজনসহ অন্যরা ঘটনার সাক্ষী হবে। এ ছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে উল্লিখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদ্ঘাটন হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় ধুলা নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো সয়েল’ কর্মসূচি উদ্বোধন

বেবিচক চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার

আরব আমিরাতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু

ভুয়া সনদে সভাপতি হওয়ার চেষ্টার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

ঢাবিতে ইউনেস্কো চেয়ার : ১২৫টি দেশের সঙ্গে একাডেমিক সংযোগ

তুষারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে যা লিখেছেন নীলা

বাংলাদেশে সিএমএদের আর্থিক অডিট কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির দাবি : যৌক্তিক না কি সীমা অতিক্রম?

‘সংস্কার কাজে আলোচনার চেয়ে খাওয়া-দাওয়া বেশি হচ্ছে’

অর্জুনের জন্মদিনে মালাইকার ভালোবাসার বার্তা

হৃদয় ভঙ্গের পর বুঝতে পেরেছি, যাকে খুঁজছিলাম তার অস্তিত্বই নেই : শবনম ফারিয়া

১০

‘ধর্ষণের’ পর কিশোরীকে নদীর পাড়ে ফেলে গেল প্রেমিক

১১

আহত ইরানিদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা মোসাদের

১২

দেশে বড় বিদেশি বিনিয়োগ আনছে দেশবন্ধু গ্রুপ

১৩

সবুজ শিল্পায়নের পথে অগ্রসর বাংলাদেশ, ইকো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক কার্যক্রমের সূচনা

১৪

আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস, ‘পরিষ্কার যুক্তি, প্রতিরোধে মুক্তি’

১৫

জুলাই সনদ চূড়ান্তের পর নির্বাচনী রোডম্যাপ দিতে হবে : খেলাফত মজলিস

১৬

আশুলিয়ায় হানি ট্র্যাপ চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

১৭

মব ও প্রেশার গ্রুপ নিয়ে প্রেস সচিবের ব্যাখ্যা

১৮

যুদ্ধবিরতির পর খামেনির প্রথম বার্তা, বিজয়ের ঘোষণা

১৯

‘রিভলবার দিয়ে আমাকে মেরে ফেলুন’ কাঠগড়ায় পিপিকে বললেন হাবিবুল

২০
X