রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে আসামি সজীব বেপারী নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া সজীবের ভাই আরেক আসামি রাজীব বেপারীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামি সজীব স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে আবেদন করেন। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম সজীবের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আরেক আসামি সজীবের ভাই রাজীবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন একই আদালত।
এ মামলায় বর্তমানে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু। এদের মধ্যে গত ১২ জুলাই টিটন গাজীর পাঁচ দিন ও গত ১৩ জুলাই আলমগীর ও মনিরের চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। গত ১৪ জুলাই সজীব ও রাজিবের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১০ জুলাই প্রথম দফায় ও ১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় মহিনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। গত ১৬ জুলাই আসামি নান্নু, রিজওয়ান ও রবিনের সাত দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই তিন আসামি টিটন গাজী, মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এদিকে মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। আর আসামি রবিনের কাছে অস্ত্র পাওয়া যাওয়ায় পুলিশ অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে।
মন্তব্য করুন