বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বাসা থেকে ৫৫ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে ভাটারা থানায় করা মামলায় গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার ওরফে হালিমা আক্তার (১৮) ও দারোয়ান মো. দেলোয়ার হোসেনের (৬০) দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে এদিন দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী জোন টিমের ডিবির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ তানভীর তুষার।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা এ মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। আসামিদের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে একান্তভাবে ব্যাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করলে জড়িত অজ্ঞাতনামা চোর সনাক্ত করাসহ নগদ ৫৫ লাখ টাকা উদ্ধার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। আসামিদের নাম ঠিকানা যাচাই করা হয়নি। আসামিরা জামিন পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার ঘটনায় জড়িত অজ্ঞাতনামা চোর শনাক্ত করতে এবং চোরাই নগদ ৫৫ লাখ টাকা উদ্ধার, তথা ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করার লক্ষ্যে আসামিদের ব্যাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড একান্ত প্রয়োজন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সফিকুল ইসলাম সবুজ তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী সফিকুল ইসলাম সবুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, গত ২৯ মে রাত ১১ টায় মামলার বাদী জমি ক্রয় করার জন্য ব্যাংক থেকে ৫৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে বাসার বক্স খাটের নিচে লাগেজের ভিতরে রাখেন। গত ৩০ মে সকাল ৯টায় আসামিরা বাদীর বাসায় কাজ করতে আসেন। আসামিরা ঘরের কাজ শেষ করে বাদীকে না জানিয়ে দ্রুত চলে যায়। ওইদিন জমি ক্রয়ের জন্য টাকা বের করতে গেলে টাকাগুলো পাওয়া যায়নি। পরে ঘরের আশেপাশের সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে টাকাগুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাদী জানতে পারেন যে আসামিরা ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক-এ, রোড-১৪, বাসা-৩২৭ এর ষষ্ঠ তলার বেডরুমের খাটের নিচে থাকা লাগেজ থেকে নগদ ৫৫ লাখ টাকা চুরি করে নেয়। পরবর্তীতে টাকাগুলো চুরি করে পালিয়ে গিয়া আত্মগোপন চলে যায় আসামিরা। ওই ঘটনায় সাদিয়া আক্তার সাথী ভাটারা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন