কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘আমার কিডনিতে অপারেশন, স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা’ বলে আদালতে জামিন চান আফ্রিদি

আদালতে তৌহিদ আফ্রিদি। ছবি : কালবেলা
আদালতে তৌহিদ আফ্রিদি। ছবি : কালবেলা

আদালতে আলোচিত ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ তৌহিদ আফ্রিদি বলেছেন, ‘চার মাস আগে আমার কিডনিতে অপারেশন করা হয়। ইনসুলিন নেওয়া লাগে। আমার স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’ এসব বিষয় সামনে এনে আদালতে জামিন আবেদন করেছেন তিনি। তবে আদালত তাকে চিকিৎসার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।

শনিবার (৩০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াস তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘যাবতীয় চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হবো।’

এদিন পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তৌহিদ আফ্রিদিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান। বেলা ১২টার দিকে তৌহিদ আফ্রিদিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। ২টা ৫৬ মিনিটের দিকে তাকে এজলাসে তোলা হয়।

এজলাসে তোলার সময় তার মুখে মাস্ক, মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল। ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে এজলাসে তোলা হয়। ২টা ৫৮ মিনিটের দিকে বিচারক এজলাসে ওঠেন।

তৌহিদ আফ্রিদির পক্ষে তার আইনজীবী মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। মামলার বাদী গত বছরের ১১ নভেম্বর এফিডেভিট দিয়ে আদালতকে বলেছেন, তথ্যগত ভুলের কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে। জামিন, অব্যাহতি, খালাস পেলে তার আপত্তি নেই। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার জামিনের প্রার্থণা করছি।

রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর কাইয়ুম হোসেন নয়ন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, এটা একটা হত্যা মামলা। জামিনের ঘোরতর বিরোধীতা করছি। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন তৌহিদ আফ্রিদি। কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়ে হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে বিচারককে সালাম দিয়ে বলেন, আমার বয়স ২৫ বছর। চার মাস আগে কিডনিতে অপারেশন করা হয়। ইনসুলিন নেয়া লাগে। আমার স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টা কম পাওয়ার নেওয়া যায় কি না। এ সময় বিচারক বলেন, আপনার যাবতীয় চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হবে।

এরআগে গত রোববার রাতে বরিশাল থেকে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ। পরদিন তার ৫ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার বিবরণী অনুযায়ী, গত বছরের ৫ অগাস্ট যাত্রাবাড়ীতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন আসাদুল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামির তালিকায় নাসির উদ্দিন ও তৌহিদ আফ্রিদির নামও রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাউশির সতর্কতামূলক নির্দেশনা

প্রোটিয়াদের দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য পাকিস্তানের

শিক্ষকদের আমরণ অনশন আজ, জোরালো হচ্ছে কর্মবিরতি

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে ভারত আসছেন না রোনালদো!

ফটিকছড়িতে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

সীমান্তে ভূতের ভয় দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড, অভিযোগ কম্বোডিয়ার

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

প্রাণ গ্রুপে চাকরি, রয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও বিমা

ঋতুর পরিবর্তনে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ, হাসপাতালে ভিড়

বর্ষা মাহিরের প্রেমের বলি জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ

১০

বাংলাদেশের খেলা দেখা নিয়ে দর্শকদের জন্য বড় সুখবর

১১

চাকরি দিচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি

১২

যুক্তরাষ্ট্রের চাপে গাজা সীমান্ত আবার খুলছে ইসরায়েল

১৩

কেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া

১৪

জ্যোতিদের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

১৫

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

১৬

ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সিসিটিভির ব্যাটারি চুরি, গ্রেপ্তার ৫

১৭

ছাত্রদল নেতা খুন / রাত পেরিয়ে সকাল হলেও হয়নি মামলা 

১৮

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত

১৯

মহাসড়ক পার হতে গিয়ে প্রাণ গেল প্রকৌশলীর

২০
X