বৈদেশিক মুদ্রা আইনের মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আফরোজা শিউলি এ দিন ধার্য করেন৷ সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী গোলাম নবী এ তথ্য জানান।
এদিন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এজন্য কারাগারে আটক আসামি সেলিমকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে আদালতে কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় আগামী ৬ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশান থেকে সেলিম প্রধানসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন গুলশান থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের কারাগারে হয়।
জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে র্যাব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়। সেসময় নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয় হরিণের চামড়া। ওই দিনই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে সেলিম প্রধানকে কারাগারে পাঠান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটি ঢাকার চতুর্থ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। গুলশান থানার মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলাটি তদন্তধীন। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। এ মামলায় ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ আদালত-৮ এর বিচারক মানিলন্ডারিং আইনে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদক আইনে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা এবং অনাদায়ে আরেক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন