সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে ২৪ জুলাই ১৫ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন।
২০২০ সালের ৯ নভেম্বর আনিসকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালের হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনার পরদিন ১০ নভেম্বর আদাবর থানায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৮ মার্চ ঢাকার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা ১৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে এ মামলার আসামি ডা. নুসরাতকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মৃত্যুবরণ করায় এবং আসামি ডা. নুশরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
মন্তব্য করুন