রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা সামসুল হায়দার উচ্ছলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আত্মসমর্পণের পর আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের শাহজাহানপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।
এদিন আসামি সামসুল আদালতে উপস্থিত হন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলায় সামসুল পলাতক ছিলেন।
এজন্য আদালত সামসুলকে আদালতে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।
পলাতক অপর আসামিরা হলেন- আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল।
এছাড়া আসামি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর, রাকিবুর রহমান রাকিব ও মোরশেদুল আলম পলাশের জামিন রয়েছে। এছাড়া অপর আসামিরা কারাগারে আটক রয়েছে।
এর আগে গত ৫ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার আদালতে ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন।
এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।
মন্তব্য করুন