কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ০৫:১৭ পিএম
আপডেট : ২২ জুন ২০২৩, ০৬:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গ্রামীণ কল্যাণের ১০৬ শ্রমিককে লভ্যাংশ দেওয়ার রায় বহাল

হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
হাইকোর্ট। ফাইল ছবি

গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে রায়ের ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের পক্ষে করা এক আবেদনের শুনানি করে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে শ্রমিকদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। তিনি কালবেলাকে বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন এ প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় দিয়েছিলেন। পরে ড. ইউনূসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ৩০ মে ওই রায়ের ওপর ৬ মাস স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।

একই সঙ্গে ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা আপিল বিভাগে আবেদন জানায়। চেম্বার আদালত এই আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্টের স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ ৬ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে ওইদিন এ বিষয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ফের শুনানির জন্য রেখেছেন।

জানা যায়, ১০৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-১৩ অর্থবছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এ লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা শ্রম আদালতে মামলা করেন। গত ৩ এপ্রিল চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এ রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক 

নদীর স্রোতে তলিয়ে গেল ৩ বোন

‘ভারতের মানচিত্রও মুছে যাবে’, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : আনোয়ারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টা ও ওসিকে হত্যার হুমকি যুবলীগ নেতার

অ্যানথ্রাক্সে মরছে গরু, আতঙ্কে কমেছে মাংস বিক্রি

নিখোঁজ ৫ জেলের সন্ধান মেলেনি সাত দিনেও

দক্ষ এমডির চরম সংকটে ব্যাংকিং খাত : গভর্নর 

তারেক রহমানের পক্ষে শতাধিক কোরআন বিতরণ

বিশ্ব রোবটিক্স প্রতিযোগিতা / জিহাদের উদ্ভাবিত রোবট ‘হেক্সাগার্ড রোভার’ পেল স্বর্ণপদক

১০

‘অসৎ মানুষের কাজে নয়, সমাজ ধ্বংস হয় সৎ মানুষের নীরবতায়’

১১

গাজা অভিমুখে শহিদুল আলম, তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট

১২

ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ডলারের মালিক হলেন ইলন মাস্ক

১৩

বিনা অস্ত্রোপচারে ৮ নবজাতকের জন্ম

১৪

রেকর্ড গড়ে স্বর্ণের নতুন দাম ২ লাখ ছুঁইছুঁই

১৫

যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদের গলায়ও গামছা পরাব : নুর

১৬

যেখানে ইতিহাস আর ভালোবাসা মিলেমিশে একাকার

১৭

সাংবাদিকদের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির দাবি 

১৮

কর্ণফুলী টানেলে মিনিবাস উল্টে আহত ৪

১৯

মার্কস অলরাউন্ডারে ১ কোটি টাকারও বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি

২০
X