গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে রায়ের ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের পক্ষে করা এক আবেদনের শুনানি করে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে শ্রমিকদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। তিনি কালবেলাকে বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন এ প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় দিয়েছিলেন। পরে ড. ইউনূসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ৩০ মে ওই রায়ের ওপর ৬ মাস স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা আপিল বিভাগে আবেদন জানায়। চেম্বার আদালত এই আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্টের স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ ৬ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে ওইদিন এ বিষয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ফের শুনানির জন্য রেখেছেন।
জানা যায়, ১০৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-১৩ অর্থবছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এ লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা শ্রম আদালতে মামলা করেন। গত ৩ এপ্রিল চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এ রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।
মন্তব্য করুন