পিস্তল, শর্টগান ও রাইফেল ছিনতাই, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক ফুটবলার আমিনুল হকসহ তিনজনের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ও গোলাম কিবরিয়া।
এদিন তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. ইউসুফ। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে সরকার বিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তারা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপরে হামলা করে মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিত প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আক্রমন করে। পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে আসে এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে। এরপর নাইটিঙ্গেল মোড়েও বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট পাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র আক্রমণ অব্যাহত রাখে। বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কাইরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগর ত্রিমুখীভাবে ইট পাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নিচে থাকা মোটরসাইকেল সহ স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নি সংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে। এতে কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স আহত হয়। আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, দুটি শর্টগান, একটি চায়না রাইফেল, একটি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারী অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান মুন্সি বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন। এ মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
মন্তব্য করুন