কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটি পুন:গঠন

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। পুরোনো ছবি
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। পুরোনো ছবি

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের জন্য কমিটি পুনঃগঠন করা হয়েছে।

বুধবার সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে।

এ ছাড়া সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফাতেমা নজীব, আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট ফওজিয়া করিম ও অ্যাডভোকেট ফারজানা রহমানকে।

জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে রিট করেন। শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেন। এ রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি কমিটি গঠনের আদেশ দেন। রায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই যৌন নির্যাতন বন্ধে মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রের কঠোর নির্দেশ প্রয়োজন।

হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, কমিটিতে কমপক্ষে ৫ জন সদস্য থাকবে। এ কমিটির বেশিরভাগ সদস্য হতে হবে নারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে দুজন সদস্য নিতে হবে। সম্ভব হলে কমিটির প্রধান করতে হবে একজন নারীকে। এ ছাড়া সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের শুরুতে এবং প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েনটেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। সংবিধানে বর্ণিত লিঙ্গ সমতা ও যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত দিকনির্দেশনাটি প্রকাশ করতে হবে বই আকারে। এ নির্দেশনা আইনে রূপান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তা আইন হিসেবে কাজ করবে এবং সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।

হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, শারীরিক ও মানসিক যে কোনো ধরনের নির্যাতনই যৌন হয়রানির মধ্যে পড়ে। ই-মেইল, এসএমএস, টেলিফোনে বিড়ম্বনা, পর্নোগ্রাফি, যে কোনো ধরনের অশালীন চিত্র, অশালীন উক্তিসহ কাউকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সুন্দরী বলাও যৌন হয়রানি। শুধু কর্মস্থল কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এ ধরনের হয়রানি ঘটে না, রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রেও যে কোনো ধরনের অশালীন উক্তি, কটূক্তি, খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো ইত্যাদিকে যৌন হয়রানি হিসেবে গণ্য করা হবে। হাইকোর্টের ওই রায়ের আলোকে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন থেকে গতকাল যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটি পুন:গঠনের ওই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এশিয়া কাপ দল নিয়ে তোপের মুখে বিসিসিআই

নারী-শিশুসহ ছয় ভারতীয় নাগরিক আটক

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার : উপদেষ্টা আসিফ

পিয়াইন নদীতে অবাধে বালু লুট, হুমকিতে বসতবাড়ি 

সোনালী ও জনতা ব্যাংকের অফিসার পদের ফল প্রকাশ

নরসিংদীতে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন কৌশলে অর্থ চুরি, যেভাবে নিরাপদ থাকবেন

টিটিইসহ ৫ জন আসামি / তিন মাসেও শেষ হয়নি ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার তদন্ত

স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু

রওনা দিয়েছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, পাল্টা প্রস্তুতি ভেনেজুয়েলার

১০

দেশে হবে আরও ৫১৬ কমিউনিটি ক্লিনিক

১১

ফেসবুকে আমেরিকার বিরুদ্ধে কিছু বললেই পাবেন না ভিসা

১২

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে হতাহত পরিবারের পাশে তারেক রহমান

১৩

আশুলিয়ায় বিপুল অবৈধ সিগারেটসহ আটক ২

১৪

স্কুলছাত্র রনি হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১৫

সরকারি অনুদানে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে সহযোগিতা করা হবে : মাহফুজ

১৬

শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালকের পদায়ন স্থগিতের দাবি

১৭

সিলেটে পাথর লুটে ১৩৭ নাম

১৮

মির্জা ফখরুলের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য জানালেন ডা. জাহিদ

১৯

ইতালিতে বাড়ছে অনিয়মিত অভিবাসী, শীর্ষে যে দেশ

২০
X