সম্প্রতি রাজনীতিতে আলোচনায় থাকা কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমের বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আর্থিক বিষয়ে কোন ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংক থেকে তৃতীয় এক ব্যক্তির নেয়া ঋণে ইবরাহিমকে দেয়া চিঠির বিষয় ৭ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তিরও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এদিকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক জোট 'যুক্তফ্রন্ট' এর প্রধান হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিবেন তিনি।
এই জোটে কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) ছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (পাঞ্জা) এবং কাঁঠাল প্রতীকের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন)। কল্যাণ পার্টি ও মুসলিম লীগ এত দিন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২ দলীয় জোটে ছিল। বিএনপিঘেঁষা জাতীয় পার্টি (মতিন) কোনো জোটে ছিল না।
সংবাদ সম্মেলনে যুক্তফ্রন্ট গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সৈয়দ ইবরাহিম বলেছিলেন, আমরা তিনটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন জোটগতভাবে অংশ নেব। তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে— সবার জন্য সমালোচনার দুয়ার উন্মুক্ত থাকল। জনগণের দোয়া, সহযোগিতা সর্বোপরি আল্লাহর রহমত থাকলে সাফল্য আসবে। আমরা আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত হয়েছি। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সম্ভাবনা আছে, গ্যারান্টি নেই। সম্ভাবনা আছে যে মনোনয়ন ফরম দাখিলের দিন (৩০ নভেম্বর) কয়েকদিন পেছানো হতেও পারে, নাও হতে পারে। যদি মনোনয়ন ফরম দাখিলের দিন পেছায়, তাহলে বাকি তারিখগুলো আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে।
সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, আমরা এজন্য বড় রিস্ক নিচ্ছি। অতীতেও আন্দোলনের অংশ হিসেবে বড় বড় দল, ছোট ছোট দল অংশ নিয়েছে। আমরা অনেক বড় দল নই, ছোট দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেব আশঙ্কা নিয়ে। আশঙ্কার উত্তর হচ্ছে, সরকারের ওয়াদা, ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনকে জাতি ও বিশ্বের সামনে গ্রহণযোগ্য করতে চাই।
মন্তব্য করুন