বয়স বিবেচনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনএমের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাস ও ৪৩৫ ধারায় সর্বোচ্চ সাত বছরের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে আদালত বয়স বিবেচনায় তাদের ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় এ বিষয়টি উল্লেখ করেন বিচারক। পাশাপাশি তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন।
এ মামলার রায়ে বিএনপির আরও পাঁচ নেতাকর্মীর সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সাবেক কাউন্সিলর এম এ কাউয়ুমসহ ১১ আসামির বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- এম এ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, মো. বাবুল হোসেন ওরফে বাবু ও মো. আলমগীর হোসেন ওরফে রাজু।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেছ গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। রাস্তার চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটির বিচার চালাকালীন সময়ে আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
মন্তব্য করুন