সড়ক ও মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি বন্ধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের জন্য ৭ দিনের সময় দিয়ে কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রেরণ করেছেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ- এইচআরপিবি’র প্রেসিডেন্ট সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
বুধবার (০৮ মে) এ-সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সড়ক ও মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৪ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। শুনানি শেষে আদালত ‘রুল অবস্ট্রাকল’ করে যশোর, খুলনা, ঝিনাইদাহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, বাগেরহাট জেলার সড়ক মহাসড়কে নছিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের।
একইসঙ্গে আদালতের রায়ের নির্দেশনা ভঙ্গ করে যারা রাস্তায় নছিমন, করিমন ও ভটভটি পরিচালনা করবে তাদের বিরুদ্ধে মোটরযান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও রায়ে প্রতি তিন মাস পর পর অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে এফিডেভিড আকারে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং মামলাটি চলমান রাখেন আদালত।
সাম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি পরিচালনা করা হচ্ছে এবং প্রায়ই দুর্ঘটনায় মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। সেই প্রেক্ষিতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আজ ডাকযোগে পুলিশ সুপার যশোর, খুলনা, ঝিনাইদাহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, বাগেরহাটসহ হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজিকে নোটিশ প্রেরণ করেন।
ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নির্দেশনা থাকলেও আদালতের আদেশ অমান্য করে সড়কে নসিমন, করিম ও ভটভটি চলার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে এবং মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রায়ই সড়কের দুর্ঘটনা হয় এবং এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রায় বাস্তবায়নে নিষ্ক্রিয়তা দায়ী।
নোটিশে সাত দিন সময় দিয়ে নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে এবং তাদের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে আদালতে লিখিত অগ্রগতি প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে দাখিলের অনুরোধ করা হয়েছে। নতুবা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন