কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
আপডেট : ০৯ মে ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় পড়া শুরু

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী। পুরোনো ছবি
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী। পুরোনো ছবি

দীর্ঘ ২৫ বছর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় রায় পড়া শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১২ মিনিটে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী এ রায় পড়া শুরু করেন।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন-আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

এদিন সকালে আসামি তারিক সাইফ মামুন আদালতে হাজিরা দেন। তবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তিনি চলে যান। পরে আইনজীবী মেহেদী হাসান তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন। তবে বিচারক তার আবেদন নামঞ্জুর করেন। জামিনে থাকা আসামি আশীষ রায় চৌধুরী আদালতে হাজিরা দেন। এছাড়া কারাগারে আটক আসামি সানজিদুল ইসলাম ইমনকে আদালতে হাজির করা হয়।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথাকাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান। আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিলেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল। এ মামলার বিচার চলাকালীন ট্রাইব্যুনাল ৩৮ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বহুল আলোচিত বিসিবি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

জামায়াত আয়োজিত নৌকাবাইচে সংঘর্ষ, আহত ১৭

সন্ধ্যার মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির আভাস

গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, অতঃপর...

লাউয়াছড়ায় গাড়ি পার্কিংয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

আলোচিত বেগমপাড়ায় কার কয়টি বাড়ি-ফ্ল্যাট

মালিক বাড়িতে নেই, গরু বিক্রি করে লাপাত্তা কর্মচারী

শয়তানের নিশ্বাস ছড়িয়ে গৃহবধূর সর্বস্ব লুট

যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্প / দরকষাকষি চলছে, আরও সময় লাগবে

সকালে ঘুম থেকেই উঠেই কি মোবাইল ফোন ঘাঁটেন, হতে পারে যেসব বিপদ

১০

সাগরে মিলল ১২ কোটি টাকার গুপ্তধন

১১

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১২

বিশ্ব শিশু দিবস আজ 

১৩

এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে : সারজিস 

১৪

ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

১৫

গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইউরোপজুড়ে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

১৬

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৭

ঘুম থেকে ওঠার পরই কি সারা শরীরে ব্যথা হয়, ভয়াবহ রোগের লক্ষণ নয় তো?

১৮

আকিজ গ্রুপে চাকরি, পাবেন গ্র্যাচুইটিও

১৯

ট্রাফিক জরিমানার নামে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণা, ডিএমপির সতর্কতা

২০
X