রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবসর নামে একটি ভবনে অভিযান চালিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)-এর সদস্যরা। এসময় জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী জসিম উদ্দিনের চেম্বার থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ দলটির তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিটিটিসি সদস্যরা এ অভিযান চালায়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, জামায়াতে ইসলামীর কোষাধ্যক্ষ খন্দকার মিজানুর রহমান ও জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় সদস্য মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।
ওই চেম্বারে অভিযান চালিয়ে ১১টি হাতবোমা (ককটেল), দুটি বড় সাইজের ছোরা, একটি চাপাতি, কাঠের দুটি রোল ও আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কার করার একটি ক্লিনিং রড পাওয়ার কথা জানিয়েছে সিটিটিসি।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোড সংলগ্ন ৫/এ ‘অবসর ম্যানশন’ নামের একটি ভবনের চতুর্থতলার একটি ফ্লাট আইনজীবী জসিম উদ্দিনের চেম্বার হিসেবে ভাড়া নেওয়া হয়। যদিও সেটি জামায়াতের গোপন অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। গোপন খবরের ভিত্তিতে গতকাল বিকেল থেকেই ওই ভবনটি ঘিরে রেখে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
সিটিটিসির উপকমিশনার (ডিসি) মিশুক চাকমা জানান, জামায়াতে ইসলামের অফিসটিতে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে নানা অপতৎপরতার জন্য গোপন বৈঠক করছিল। অফিসটিতে তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বর্পূণ কিছু ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে।
সিটিটিসির অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, ছাত্র আন্দোলনে ঢুকে নাশকতা চালাতে অর্থদাতা ও সরাসরি জড়িত বেশ কয়েকজনের তালিকার তথ্যও পাওয়া গেছে ওই অফিসটিতে। অফিসটিতে বসেই ধানমন্ডি এলাকার নাশকতায় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছিল। ২০১৮ সালে সাত মসজিদ রোড এলাকাতে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় সেটিও এই অফিস থেকে পরিচালিত হয়েছিল।
ওই কর্মকর্তা বলেন, রাতেই আবহানী মাঠের পাশে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা উদ্ধার করা ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করেছে।
মন্তব্য করুন