রাজধানীর মিরপুরে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করে এক তরুণীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণীর নাম ফাতেমাতুজ জোহরা স্বর্ণা এবং এ অভিযুক্ত যুবকের নাম জিসান।
স্বর্ণা ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরডুবাই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত শহিদুল ইসলামের মেয়ে। মা শেলি সুলতানার সঙ্গে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
আরও পড়ুন : আশুলিয়ায় বাসে অগ্নিকাণ্ড: যুবদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৬
নিহতের ফাতেমার চাচা মো. আবু জাফর জানান, বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে স্বর্ণা। এনিমেল শেল্টার নামে একটি সংস্থায় কাজ করতেন স্বর্না। সংস্থাটি বেওয়ারিশ কুকুরের স্বাস্থ্যসেবা দেয়। একই সংস্থায় কাজ করেন জিসান নামে ওই যুবক। সোমবার সন্ধ্যায় জিসান স্বর্নাকে ফোন করে মিরপুর ১ নম্বর সেকশন শাহআলী থানার পিছনে জিসানের বাসায় ডেকে নেন। এরপর রাত ১০টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় স্বর্ণাকে জিসান আবার মিরপুরের ১২ নম্বর সেকশনে স্বর্ণাকে বাসার গ্যারেজে রেখে চলে যায়। পরে স্বর্নার মা স্বজনদের সহযোগীতায় মেয়েকে প্রথমে স্থানীয় ইসলামী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ভোরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনরা অভিযোগ করেন স্বর্ণার মুখমন্ডলসহ শরীরে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। জিসানই স্বর্ণাকে ডেকে নিয়ে মারধর করেছে। যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে কি কারণে স্বর্ণাকে মারধর করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি তারা।
পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, মরদেহটি ঢাকা মেডিকেলে কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিসান নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে বলা জানানো হবে।
মন্তব্য করুন