নগদ বা বিকাশে তিন হাজার টাকা দিলে বিনিময়ে মিলছে ২৫ হাজার টাকা। সেই টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাহকের কাছে। ফেসবুকে বিভিন্ন নামে গ্রুপ খুলে প্রকাশ্যে টাকার ছবি পোস্ট করে ক্রেতা ধরছেন জালটাকার ব্যবসায়ীরা।
এ জন্য প্রথমে ক্রেতার কাছে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকার ফ্রি স্যাম্পলও পাঠাচ্ছেন তারা। যদি সেই জালটাকা বাজারে চালানো সম্ভব হয়, এরপরই ক্রেতাকে পাঠানো হয় মূল অর্থ। কেউ কেউ আবার ৫০ শতাংশ টাকা আগে নিয়ে তারপর বিক্রি করেন জালটাকা।
গত ৭ জুন ‘সাইমন টাকার ডিলার’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে জালটাকার বিজ্ঞাপন পোস্ট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, বড় জালনোট প্রশাসনের নজরে চলে আসে। কিন্তু ছোট নোট নিয়ে কেউ সন্দেহ করে না। তাই এসব ছোট নোট বিক্রি করা হচ্ছে।
মূলত কুরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে এসব জালনোট বিক্রি করা হচ্ছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করা হয়। তবে এই ফেসবুক আইডির ডিলার একাই নন, এমন পোস্ট আরও কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে কালবেলার সঙ্গে এক জালনোট বিক্রেতার কথা হয়। তিনি জানান, শুরুতে স্যাম্পল হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা পাঠানো হবে। সেই জালটাকা যদি বাজারে চালানো সম্ভব হয়, এরপরই ক্রেতাকে পাঠানো হবে মূল অর্থ। আর এসব টাকা পাঠানো হবে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে, এ জন্য সেখানেও দেওয়া হবে কিছু অঙ্কের টাকা।
তবে জালনোট বিক্রেতাদের সঙ্গে চুক্তি করার পর অনেকে প্রতারিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা দাবি করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ডিসি, ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ (উত্তর) তারেক বিন রশিদ বলেন, তারা অন্তত ৫০টি ফেসবুক ব্যবহারকারী, পেজ বা গ্রুপ চিহ্নিত করেছে, যেখানে ঘন ঘন এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। অনলাইনে জালনোট বিক্রেতাদের বেশিরভাগই প্রতারক। কারণ ডেলিভারি চার্জ বা আংশিক অর্থ নেওয়ার পর জালনোট ক্রেতার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তারা। আর এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করতে চান না বলেই চক্রগুলো এমন প্রতারণার পথ বেছে নিয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন