ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ নকল কীটনাশক জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরিফ আসিফের নেতৃত্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, সাংবাদিকরা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে পাঁচটি কক্ষের তালা ভেঙে কীটনাশক তৈরির কেমিকেল, টাটাক্রফ কীটনাশক কোম্পানির একাধিক নকল কীটনাশক বোতলসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতল, প্যাকেট, ড্রাম ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্যানেল কোড ১৮৬০-এর ১৮৬ ধারামতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে বাড়ির মালিক ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মোড়লের ছেলে মাহাবুব রহমান মোড়লকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
তাছাড়া ভ্যানচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জন্য আটক করা হয়।
নকল কোম্পানি মেসার্স জেনারেল এগ্রোর প্রোপ্রাইটর এম ডি হেলাল ও বাড়ির মালিক মাহাবুব রহমান মোড়লের ছেলে রাব্বি মোড়লের নামে নিয়মিত মামলা করা হয়। এ সময় প্রায় ৫০ লাখ টাকার নকল কীটনাশক ও কীটনাশক তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে টাটাক্রফ কোম্পানির এমডি জানায়, নকল কোম্পানিতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার নকল কীটনাশক ও কীটনাশক তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে প্রশাসন।
বুধবার (১৯ জুলাই) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলা প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নকল কীটনাশক তৈরি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লোক চক্ষুর আড়ালে নকল কীটনাশক তৈরি করে বিভিন্ন কোম্পানির মোড়ক লাগিয়ে বাজারজাত করে আসছিল এম ডি হেলাল নামের এক যুবক। নরনিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর বাড়ির পাঁচটি কক্ষ ভাড়া নেয় উপজেলার বানিয়াখালী গ্রামের এম ডি হেলাল।
অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় মূল হোতা হেলাল। কারখানার পাঁচটি কক্ষে স্থানীয় জনগণ ও পুলিশ পাহারায় রাখা হয়।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ওয়ালিদ হোসেন।
মন্তব্য করুন