কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও অন্যদের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো কামরুল আলম খান পদত্যাগ করেছেন।
রোববার (১১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেওয়া পদত্যাগের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের সময় শেষ হয়। তবে এ সময়ের মধ্যে উপাচার্য, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করায় বিকেল ৫টার পর ঝটিকা মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে তাদের নামফলক সরিয়ে দেন এবং অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।
এ ঘটনার পরপরই উপাচার্য ড. মো কামরুল আলম খান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এসএম ইউসুফ আলী।
এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এসএম ইউসুফ আলী, মির্জা আজম হলের প্রভোস্ট পার্থ সারথি দাস, সহকারী প্রক্টর সুমিত কুমার পাল, পরিবহন কমিটির সদস্য হোসাইন মোহাম্মদ আপেল ও কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি পদত্যাগ করেছেন।
ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ অন্যরা পদত্যাগ না করা ও কিছু দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।
তারা আরও বলেন, এখন বাংলাদেশ সংস্কার চলছে। আমরা মনে করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বাংলাদেশ। এখন সময় এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজানোর, তাই সেটিই করছি।
মন্তব্য করুন