শেকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমাতে পদক্ষেপ নিতে হবে’

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত। ছবি : কালবেলা
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত। ছবি : কালবেলা

প্রবাসী আয় একটি দেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট আশীর্বাদ। দেশের নিজস্ব উৎপাদন এবং অর্থনীতি সংকীর্ণ হওয়ায় রিজার্ভের অনেকাংশ এই প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীল। তবে হুন্ডির দৌরাত্ম্য এই উপার্জনে সরকারের প্রকৃত লাভবান হওয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে হুন্ডির এই দৌরাত্ম্য কমাতে সরকারের শক্তিশালী এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক সেমিনার এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। তিনি প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মডারেটররা উপস্থিত ছিলেন।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, সংখ্যার হিসেবে আমাদের দেশ থেকে বিপুল শ্রমিক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গেলেও আয়ের হিসাবে আমরা অনেক পিছিয়ে। পাশের দেশগুলোর শ্রমিকরাও আমাদের শ্রমিকদের তুলনায় বেশি পারিশ্রমিকে কাজ করেন। মূলত দক্ষতায় পিছিয়ে থাকার কারণে উপার্জনেও পিছিয়ে আমরা। অন্তত বিদেশি ভাষা শেখা থাকলেও অনেক এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। এসব বিষয়ে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের শ্রমিকদের আরও প্রশিক্ষিত করে বিদেশে পাঠাতে হবে। তবে আমাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।

তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে অভ্যন্তরীণ আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই। নীতিমালা গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্তর্দ্বন্দ্বমূলক নীতি থেকে বেরিয়ে জনকল্যাণমূলক নীতিমালা গ্রহণে বেশি মনোযোগী হতে হবে। জনগণের স্বার্থের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের কাছ থেকে ট্যাক্স নেওয়ার বিপরীতে আমরা তাদের আকাঙ্ক্ষা কতটুকু পূরণে সক্ষম হচ্ছি সে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করাও জরুরি। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালগুলো জনগণকে কার্যকর সেবা প্রদানে ব্যর্থ হলে জনগণ কর ব্যবস্থাকে বোঝা মনে করবে। আমাদের এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রোটিয়াদের দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য পাকিস্তানের

শিক্ষকদের আমরণ অনশন আজ, জোরালো হচ্ছে কর্মবিরতি

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে ভারত আসছেন না রোনালদো!

ফটিকছড়িতে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

সীমান্তে ভূতের ভয় দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড, অভিযোগ কম্বোডিয়ার

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

প্রাণ গ্রুপে চাকরি, রয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও বিমা

ঋতুর পরিবর্তনে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ, হাসপাতালে ভিড়

বর্ষা মাহিরের প্রেমের বলি জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ

বাংলাদেশের খেলা দেখা নিয়ে দর্শকদের জন্য বড় সুখবর

১০

চাকরি দিচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি

১১

যুক্তরাষ্ট্রের চাপে গাজা সীমান্ত আবার খুলছে ইসরায়েল

১২

কেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া

১৩

জ্যোতিদের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

১৪

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

১৫

ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সিসিটিভির ব্যাটারি চুরি, গ্রেপ্তার ৫

১৬

ছাত্রদল নেতা খুন / রাত পেরিয়ে সকাল হলেও হয়নি মামলা 

১৭

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত

১৮

মহাসড়ক পার হতে গিয়ে প্রাণ গেল প্রকৌশলীর

১৯

চাকরি দিচ্ছে ওয়ালটন, থাকছে নানা সুবিধা

২০
X