চট্টগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ‘ছোট সাজ্জাদের’ স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিক।
চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানার বাকলিয়া এক্সেস রোড চন্দনপুরা অংশে প্রাইভেটকারে গুলি করে জোড়া খুনের ঘটনায় অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, বাকলিয়া এক্সেস রোড চন্দনপুরা অংশে জোড়া খুনের ঘটনায় আসামি সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ‘ছোট সাজ্জাদের’ স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গত ১০ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া এলাকা থেকে শারমিন আক্তার তামান্নাকে (৩৭) গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
গত ৩০ মার্চ গভীর রাতে নগরের বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকা থেকে একাধিক মোটরসাইকেলে থাকা সন্ত্রাসীরা প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। প্রাইভেটকারটি বাকলিয়া এক্সেস রোড দিয়ে ঢুকে চকবাজার থানার চন্দনপুরায় পৌঁছানোর পর থেমে যায়। তখন বেপরোয়াভাবে গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। এতে নিহত হন বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ। আহত হন রবিন ও হৃদয়।
পুলিশের তথ্য মতে, মোট ১৩ সন্ত্রাসী ৬টি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এই পরিকল্পিত হামলা চালায়। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার তালিকাভুক্ত অপরাধী সরওয়ার হোসেন বাবলা, যিনি শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যান। এ হামলার পেছনে দুটি উদ্দেশ্য ছিল বায়েজিদ বোস্তামী ও আশপাশের এলাকার অপরাধীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ছোট সাজ্জাদের গ্রেপ্তারের প্রতিশোধ নেওয়া।
গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় নগরের বাকলিয়া থানায় খুন হওয়া বখতেয়ার উদ্দিন মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীসহ ৭ জনের নামে মামলা করেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না (৩৭), মোহাম্মদ হাছান (৩৬), মোবারক হোসেন ইমন (২২), খোরশেদ (৪৫), রায়হান (৩৫) ও বোরহান (২৭)।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর পরিকল্পনা অনুসারে আসামিরা গুলি করে মানিকসহ দুজনকে হত্যা করেছে। ছোট সাজ্জাদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন