গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৪ মে) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাষ্কর্যে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘হাসনাত আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘ব্যান ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। সমাবেশ থেকে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ কচুক্ষেতের ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে তাদের শত্রু হয়েছে। দালাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের চক্ষুশূল হয়েছে। এ জন্য হাসনাতকে বারবার হামলার শিকার হতে হচ্ছে।
ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেদোয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এই সকল লীগ বাংলাদেশে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিগণিত। তারা জুলাইয়ে ২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। গত ১৫ বছরে অসংখ্য জুলুম নির্যাতন করেছে। তারা কোনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। তাদের স্থান কেবল ফাঁসির মঞ্চ।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বলেন, আমরা ইন্টেরিমের কাছে প্রশ্ন করতে চাই জুলাইয়ের যোদ্ধা হাসনাত আব্দুল্লাহ আহত কেন? জুলাই শহীদের মেয়ে ধর্ষিত হয় কেন? যে বিপ্লবীদের রক্তের ওপরে দাঁড়িয়ে আপনারা ক্ষমতায় গেছেন সেই বিপ্লবীদের নিরাপত্তা দিতে আপনারা ব্যর্থ কেন? ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে ভারতের প্রেসক্রিপশনে, আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে কিংবা কচুক্ষেতের প্রেসক্রিপশনে কোনো রাজনীতি চলবে না। একমাত্র জনগণের প্রেসক্রিপশনেই এ দেশে রাজনীতি চলবে।
মন্তব্য করুন