ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘বাংলা সাহিত্যে ফারসির প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, আঞ্জুমানে ফারসি ও বাংলাদেশস্থ ইরানি দূতাবাসের যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এই আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে অতিথিদের বক্তব্যে ভারতীয় উপমহাদেশের সাথে পারস্যের ঐতিহাসিক সম্পর্ক, কাজী নজরুলের ইসলামের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে তার স্পষ্ট প্রভাব, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ফারসির অবদান প্রভৃতি উঠে আসে।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ইরানি দূতাবাসের অ্যাম্বাসেডর এইচ ই মানসুর চাভোশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান, ঢাকাস্থ ইরানি দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সেলর সাইয়েদ রেজা মীর মোহাম্মদী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঢাবি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ও আঞ্জুমানে সাধারণ সম্পাদক ড. মুমিত আল রশিদ।
সাইয়েদ রেজা মীর মোহাম্মদী বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম রুবাইয়াত অনুবাদ করেছেন তা আমরা জানি না। এটা নিয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। এমনকি যে অনুবাদগুলো আমাদের কাছে আছে তার সবগুলোও আসলে তার অনুবাদ কিনা তা আমরা জানি না। নজরুলের সাহিত্য ফারসি ভাষায় অনুবাদ করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, আমাদের আদি রাষ্ট্র ভাষা ছিল ফারসি। ফারসি ওই সময় এমনভাবে প্রাসঙ্গিক ছিল যে তারা ক্ষমতা দখল করার সাথে সাথেই ফারসি নিষিদ্ধ করতে পারেনি। পরে আইন করে নিষিদ্ধ করে। ব্রিটিশদের আগমনের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরবি ও ফারসি ভাষা।
তিনি বলেন, আমরা পারস্যের সঙ্গে খুব সম্ভবত একটা চুক্তিতে যাব। এতদিন আমরা পারস্যকে দেখেছি নজরুলের মাধ্যমে; এখন আমরা পারস্যবাসীকে নজরুলকে চেনাতে চায়।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, আজ থেকে এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। এটা পারস্যের কবিদের সঙ্গে বাংলার কবিদের যাত্রা।
রাষ্ট্রদূত এইচ ই মানসুর চাভোশি বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন