দেশের তরুণ নির্মাতা ও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য আসছে নতুন এক উৎসবের উন্মেষ। প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৫’, যার প্রতিপাদ্য ‘যেখানে গল্প উড়ে যায়’।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসব শুরু হচ্ছে ২৩ জুন, সোমবার, চলবে ২৫ জুন পর্যন্ত। সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। তিন দিনের এই আয়োজনে থাকছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী, মাস্টারক্লাস, পুরস্কার বিতরণসহ নানা আয়োজন।
উৎসব ঘিরে সারা দেশের শিক্ষার্থী ও উদীয়মান নির্মাতাদের কাছ থেকে জমা পড়ে ৭০টিরও বেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। নির্বাচিত হয়েছে ৬৪টি। এর মধ্যে প্রতিযোগিতা বিভাগে ৫ মিনিটের কম দৈর্ঘ্যের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র থাকছে ১৪টি এবং ১৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের ৩৯টি। অন্যদিকে অ-প্রতিযোগিতা বিভাগে বিশেষ প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয়েছে ১২টি চলচ্চিত্র। এ ছাড়া উৎসবে কিছু পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রতিযোগিতা বিভাগে দুটি ক্যাটাগরিতে দুটি বিভাগে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও সেরা পরিচালক এ তিনটি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে। চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারকের আসনে রয়েছেন—লেখক ও চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরু, নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার সৈয়দ আহমেদ শাওকি, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র বিশ্লেষক সাদিয়া খালেদ রিতী।
উদ্বোধনী দিন (২৩ জুন) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান। এরপর বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচিত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী। বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ প্রদর্শনী। দ্বিতীয় দিন (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে চলচ্চিত্র বিষয়ক মাস্টারক্লাস। মাস্টারক্লাস পরিচালনা করবেন তরুণ নির্মাতা রাকা নোশিন নাওয়ার। শেষ দিন (২৫ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হবে সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী। বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্মিত চলচ্চিত্রের একটি বিশেষ প্রদর্শনী দিয়ে এই উৎসবের পর্দা নামবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি ও উৎসব কমিটির আহ্বায়ক আদনান মাহমুদ সৈকত বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা এত বড় পরিসরে চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করছি। অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। আশা করছি, চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এটি একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হবে।’ এ ছাড়া উৎসব পরিচালনায় আছেন সংসদের কোষাধ্যক্ষ রাগীব শাহরিয়ার সৈকত এবং প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাধারণ সম্পাদক হাসিবুজ্জামান রিক।
মন্তব্য করুন