ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য ভিপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেন জুলিয়াস।
তার নাম সামনে আসার পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। ডাকসুর ভোটার তালিকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতার নাম থাকা এবং প্রার্থী হওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। তালিকা থেকে জুলিয়াসের নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ঢাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএম কাওসার বলেন, এসএম হলের অনেককে ছাত্রদল করার কারণে পিটাইছে সিজার। এই সময় তার জেলে থাকার কথা কিন্তু সে ডাকসুর ভিপি ক্যান্ডিডেট হতে আসছে। ছাত্রলীগের এমন নিপীড়ককে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত।
জুলিয়াস সিজার তালুকদার ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ থেকে জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই বছর ডাকসুতে স্বতন্ত্র জিএস পদপ্রার্থী ফরিদ হাসানকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর মিছিল নিয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সামনে এলে তাকে হেনস্তা করার অভিযোগও রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিজার বলেন, ২০১৭ সালের পর থেকে ছাত্রলীগে আমার কোনো পদ-পদবি নেই এটা হলো প্রথম কথা। দ্বিতীয়ত, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সরাসরি এক্টিভিজম করা, কথা বলা এটা গত পাঁচ বছরে আমি যতটুকু করছি আমার দেখা মতে আমার চাইতে বেশি আর কেউ করেনি। এটা আপনি আমার টাইমলাইনে গেলেই দেখবেন৷
সিজারের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের কাছে সিজারকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন এসএম হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা জাওয়াদ ইবনে ফরিদ।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, হল সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা থেকে চিঠি পেয়েছি। সিজারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে নির্বাচন কমিশনারদের সভার মাধ্যমে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন