জুলাই আন্দোলনে আহতদের সহযোগিতা ও রক্তদানে অংশ নেওয়া কর্মীদের সম্মাননা প্রদান করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাঁধন। একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ‘সংকটে, সংগ্রামে, পাশে বাঁধন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জবি ইউনিট সভাপতি উম্মে মাবুদা। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. তাসলিমুল হাসান নিশাদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ ভাজাম্মুল হক, শিক্ষক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. কেএএম রিফাত হাসান এবং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিস্তার জাহান কবীর।
আয়োজকরা জানান, সংকটময় মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই বাঁধনের মূল লক্ষ্য, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
বাঁধনের সাধারণ সম্পাদক তাসলিমুল হাসান নিশাদ বলেন, ২৪ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে বাঁধনকর্মীরা শুধু আন্দোলনে অংশ নেননি, আহতদের জন্য রক্তও সরবরাহ করেছেন। ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আহত ও শহীদ সাজিদ ভাইয়ের জন্য আমরা রক্ত সংগ্রহ করেছি। আন্দোলনে সাতজন আহত হন। তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং আমাদের কর্মীদের ত্যাগকে স্মরণ করতেই এ আয়োজন।
সংগঠনের সভাপতি উম্মে মাবুদা বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় আমাদের কর্মীরা যেমন আন্দোলনের মিছিলে ছিল, তেমনি আহতদের পাশে থেকেছে রক্ত দিয়ে। সংকটকালে মানবিক সেবা দেওয়াই বাঁধনের চেতনা। আমরা বিশ্বাস করি, মানবতার এই দায়িত্ব পালন করতে পারাটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। আজকের এই স্মৃতিচারণ শুধু অতীতকে মনে করার জন্য নয়, বরং আগামীর পথচলায় আমাদের আরও দায়িত্বশীল হতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। মানুষের পাশে থাকা, মানবিকতার বন্ধনে যুক্ত থাকা এটাই বাঁধনের আসল শক্তি।
মন্তব্য করুন