আজকাল স্মার্টফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং ফটোগ্রাফি এবং স্মৃতির সংরক্ষণের অন্যতম প্রধান যন্ত্র। উন্নত সেন্সর, ম্যানুয়াল কন্ট্রোল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির কারণে সহজেই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো মানের ছবি তোলা যায়। তাই ব্যবহারকারীরা দৈনন্দিন জীবনের মুহূর্তগুলো স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করেন, কেউ আবার পছন্দের ছবি ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন।
এবার ব্যবহারকারীর আপলোড করা ছবির পাশাপাশি স্মার্টফোনে থাকা সব ছবি সংগ্রহের জন্য ফেসবুক নতুন ‘ক্লাউড প্রসেসিং’ সুবিধা চালু করেছে।
মেটার তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ব্যবহারকারীদের জন্য চালু হওয়া এই সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্মার্টফোনের গ্যালারিতে থাকা অপ্রকাশিত ছবি মেটার সার্ভারে জমা করবে। এরপর সার্ভারে থাকা ছবিগুলো থেকে কোলাজ তৈরি করে নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।
তবে এতে বিভিন্ন স্ক্রিনশট, রসিদসহ ব্যক্তিগত ছবি থাকায় গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে মেটা জানিয়েছে, ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া ক্যামেরার ছবি বা ভিডিও এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হবে না। তবে ব্যবহারকারী যদি মেটার এআই টুল দিয়ে ছবি সম্পাদনা বা শেয়ার করেন, তখন তা এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হতে পারে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ-কে মেটার মুখপাত্র মারি মেলগুইজো জানিয়েছেন, এই সুবিধা মূলত ব্যবহারকারীর জন্য ছবি ও কোলাজের প্রস্তাব তৈরি করার উদ্দেশ্যে। ব্যবহারকারী কিছু না করলেও সার্ভারে ছবির একটি কপি সংরক্ষণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে মেটা স্বীকার করেছিল, তারা ২০০৭ সাল থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট হওয়া ছবি ও লেখা ব্যবহার করে তাদের এআই মডেল প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এছাড়া ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া প্রাইভেসি সেটিংস পরিবর্তনের অভিযোগও উঠেছিল।
সূত্র : টমস গাইড ও দ্য ভার্জ
মন্তব্য করুন