মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, বিদেশে কাজ ও মৃত্যুর পরও পাশাপাশি দাফন

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ওমানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মো. সাহাবুদ্দিন ও মো. বাবলুর জানাজা। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ওমানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মো. সাহাবুদ্দিন ও মো. বাবলুর জানাজা। ছবি : কালবেলা

কয়েক কদম ব্যবধানে দুজনের বাড়ি। ছোটবেলায় একসঙ্গে বেড়ে ওঠা থেকে বন্ধুত্ব। কর্মজীবনেও এই বন্ধুত্বে ছেদ পড়েনি। প্রবাস জীবনে ওমানে একই ঘরে থাকতেন, কাজও করতেন একসঙ্গে।

সর্বশেষ বাড়ি থেকে ওমানে ফিরেছেন একই ফ্লাইটে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাদের মৃত্যু হলো একইসঙ্গে। সর্বশেষ তাদের দাফন হলো পাশাপাশি কবরে।

বলছিলাম, ওমানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মো. সাহাবুদ্দিন ও মো. বাবলুর কথা। চলতি বছরের ৮ অক্টোবর ওমানের দুখুম সিদরা এলাকায় সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তারা দুজনসহ আটজনের মৃত্যু হয়। আটজনের মধ্যে সাতজনের বাড়িই সন্দ্বীপ উপজেলায়। বাকি একজনের বাড়ি রাউজান উপজেলায়।

শনিবার (১৮ অক্টেবর) রাতে তাদের লাশ চট্টগ্রামে পৌঁছায়। পরে রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে সাড়ে সাতটার দিকে স্পিডবোট যোগে সন্দ্বীপ নেওয়া হয়। পরে জানাজা শেষে দুপুর ১২টার দিকে দাফন করা হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- সারিকাইতের মো. আমিন মাঝি, মো. আরজু, মো. রকি, মো. সাহাবউদ্দিন ও মো. বাবলু এবং মাইটভাঙার মো. জুয়েল ও পৌরসভার মোশাররফ হোসেন রনি।

স্থানীয়রা জানান, সাহাবুদ্দিন আর বাবলু ছিলেন বাল্যকাল থেকে বন্ধু। বিদ্যালয়ে যাওয়া, বেড়ে ওঠা- সবই একসঙ্গে। একসঙ্গে দুই বন্ধু দেশে এসেছিলেন। ২১ সেপ্টেম্বর একই ফ্লাইটে তারা ওমানে ফিরে গেছেন। দুর্ঘটনাও তাদের আলাদা করতে পারেনি। তাই তো মৃত্যুর পরও তাদের দাফন করা হলো পাশাপাশি কবরে।

সাহাবুদ্দিনের পরিবারে মা-বাবা, স্ত্রী ও চার মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। বাবলুর তিন বছরের ছেলে আর দুই বছরের একটা মেয়ে আছে।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন কালবেলাকে বলেন, সকাল সাড়ে সাতটায় বাঁশবাড়িয়া থেকে মরদেহ স্পিডবোট যোগে সন্দ্বীপে আনা হয়। পরে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। জানাজাটি জনসমুদ্রে রূপ নেয়।

তিনি বলেন, সাহাবুদ্দীন আর বাবলুর বন্ধুত্ব ছোটবেলা থেকেই। একসঙ্গে বেড়ে ওঠা থেকে প্রবাসে কাজ করা, আর এখন মৃত্যুর পর পাশাপাশি কবরে দাফনও হলো। দুনিয়াতে একসঙ্গে ছিলেন, পরকালেও তেমনই থাকবেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতা বিবেচনায় সাতজনের পরিবারের সাতজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবি জানান।

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা কালবেলাকে বলেন, সকালে মরদেহ সন্দ্বীপ এসে পৌঁছায়। পরে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করার ও প্রাপ্য তারা সবই পাবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিয়েতে হুজুরকে দাওয়াত না দেওয়ায় সংঘর্ষে আহত ১১

‘মোনালিসা’র চোখ ফাঁকি দিয়ে অভিনব চুরি, বিশ্বজুড়ে তোলপাড়

শাহজালালের কার্গোতে আগুনে ক্ষতি কত, জানাল বিজিএমইএ

লঘুচাপ-নিম্নচাপ নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

শরীয়তপুরে কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে কালবেলার ৩য় বর্ষপূর্তি উদযাপন

আ.লীগ আমলে একটাই খেলা হয়েছে, অস্ত্রের খেলা : দুলু

দেশের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ইরানে আরও একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

সুস্থ থাকতে কোন বয়সে কত ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, জেনে নিন

ফেসবুকে দিয়েছিলেন বিনামূল্যে লাশ পরিবহনের খবর, তিনিই এখন যাত্রী!

১০

দুর্নীতি ও বৈষম্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে : ইসলামী সমাজ

১১

মোমের আলোয় প্রয়াতদের স্মরণ করেন স্বজনরা

১২

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, অস্ত্র প্রদর্শন

১৩

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণ এখন সর্বোচ্চ দামে

১৪

খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও অবদানকে মূল্যায়ন করবে জনগণ : রহমাতুল্লাহ

১৫

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা : ফরম পূরণের সময় বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি

১৬

শাহজালাল বিমানবন্দরে পণ্য রাখার নতুন স্থান নির্ধারণ

১৭

ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ মিলছে ৪২ দেশের নাগরিকদের

১৮

বাগেরহাটে কলেজ ছাত্রদল সভাপতির ওপর হামলা

১৯

ঘাস চিবিয়ে মাঠ ‘অনুভব’ করতেন রোনালদো!

২০
X