দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে একযোগে ২১টি হলে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
জানা গেছে, নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল সোয়া ৮টার দিকে ক্যাম্পাসের পেছনে গেরুয়া এলাকাসংলগ্ন ফটকে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ লেখা ব্যানার ঝুলিয়েছে প্রশাসন। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ঝুঁকি নেই। তবে অন্যান্য ফটকের তুলনায় গেরুয়া ফটক দিয়ে বাইরের লোকজন ঢোকার চেষ্টা করবে। এ কারণে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেশি রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় সাংবাদিকদের জানান, জাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি, সব বাহিনীই মাঠে থাকবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও সতর্ক অবস্থায় থাকবে। প্রয়োজনে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৬৭ জন পোলিং অফিসার (শিক্ষক) এবং ৬৭ জন সহায়ক পোলিং অফিসার (কর্মকর্তা) রয়েছেন। ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে গণনা করা হবে।
এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক মিলিয়ে মোট ৮টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত পূর্ণাঙ্গ প্যানেল, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, বাগছাসের ‘সম্মিলিত ঐক্য ফোরাম’, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দুই অংশের পৃথক প্যানেল ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ ও ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, এ ছাড়া রয়েছে তিনটি স্বতন্ত্র প্যানেল।
জাহাঙ্গীরনগরের ইতিহাসে এটি হবে ১০ম জাকসু নির্বাচন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক অনুশীলনের দৃষ্টান্ত।
মন্তব্য করুন