দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন শুরু হয়েছে। এবার এই নির্বাচনের বড় বাধা হয়েছে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ না থাকায় কয়েকটি কেন্দ্রে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে ভোটগ্রহণ। আবার কিছু কেন্দ্রে চার্জার লাইট জ্বালিয়ে চলছে ভোটগ্রহণ।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর, ক্যাম্পাসে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এতে কয়েকটি আবাসিক হলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর ফলে কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ নম্বর ছাত্র হল, মওলানা ভাসানী হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল, ফজিলতুন্নেছা হল, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল, প্রীতিলতা হল, বীর প্রতীক তারামন বিবি হলসহ কয়েকটি আবাসিক হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে শহীদ রফিক-জব্বার হল কেন্দ্রের প্রধান ও হল প্রভোস্ট আব্দুস সাত্তার গণমাধ্যমকে জানান, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বুথগুলো অন্ধকার হয়ে পড়ে। যার ফলে প্রায় ১০ মিনিটের মতো ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। তবে বিদ্যুৎ আসায় আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ও শেখ রাসেল হলসহ কয়েকটি আবাসিক হলে জেনারেটর চালু থাকায় ভোটগ্রহণের কোনো অসুবিধা হয় না। এ ছাড়া ১০ নম্বর ছাত্র হলে চার্জার লাইটের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে, জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা।
এবারের নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৮ প্রার্থী।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৬৭ জন পোলিং অফিসার (শিক্ষক) এবং ৬৭ জন সহায়ক পোলিং অফিসার (কর্মকর্তা) রয়েছেন। ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে গণনা করা হবে।
এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক মিলিয়ে মোট ৮টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত পূর্ণাঙ্গ প্যানেল, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, বাগছাসের ‘সম্মিলিত ঐক্য ফোরাম’, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দুই অংশের পৃথক প্যানেল ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ ও ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, এ ছাড়া রয়েছে তিনটি স্বতন্ত্র প্যানেল।
জাহাঙ্গীরনগরের ইতিহাসে এটি হবে দশম জাকসু নির্বাচন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক অনুশীলনের দৃষ্টান্ত।
মন্তব্য করুন