

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন তিন দিনব্যাপী ‘ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপিডিশন ২০২৫’ কর্মসূচিতে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরে (আইটিবিআই) গত ৮ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন।
কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের সীমা পেরিয়ে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ করে দেওয়া। এতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি, জ্ঞান ও সৃজনশীলতার সমন্বয়ে বাস্তব উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। কেউ প্রোগ্রামিংয়ের নতুন কৌশল শিখেছেন, কেউ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অন্বেষণ করেছেন, আবার কেউ উদ্যোক্তা হওয়ার ধারণা পেয়েছেন।
পুরো আয়োজনটি তত্ত্বাবধান করেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মোস্তফা কামাল সাগর ও নাফিয়া মল্লিক। তিন দিনব্যাপী সেশনগুলোতে অংশ নেন চুয়েট ও বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞরা।
চুয়েট এনএলপি ল্যাবের ফেলো মো. রেফাজ হাসান পরিচালনা করেন ‘Python Programming and Its Applications’ কর্মশালা। আইটিবিআই পরিচালক প্রফেসর ড. এম মশিউল হক ও ড. রানা শরীফ যৌথভাবে আলোচনা করেন ‘Artificial Intelligence: Future of the Next Generation’ বিষয়ে।
এ ছাড়া পোর্টওয়েস্ট লিমিটেডের মো. ইফতেখারুল ইসলাম নেন ‘Cyber Security Workshop’; স্টার্টআপ চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা আরাফাতুল ইসলাম আকিব উপস্থাপন করেন ‘Startup and Seed Funding Project’; এবং*ডিলিগাইট লিমিটেডের মো. রঞ্জু মিয়া হাতে-কলমে শেখান ‘Developing a Website in One Day’।
প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও সিএসই বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. শাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘শুধু তত্ত্ব নয়, অভিজ্ঞতাও শিক্ষার অংশ। এই ধরনের কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের শেখায় কীভাবে ধারণা বাস্তব সমাধানে রূপ নিতে পারে।’
তিনি চুয়েটের আইটিবিআই পরিচালক প্রফেসর ড. এম মশিউল হক–এর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে।
কর্মসূচি শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপিডিশন ২০২৫’ তাদের শেখার পরিধি বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর ক্যারিয়ারের জন্য নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন