রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, আমাদের চার নেতা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী নেতা। তারা জাতির পিতার বিশ্বস্ত সহচর। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি বলেই তাদের প্রাণ দিতে হয়েছিল। তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আত্মনিয়োগ করাই হোক জেলহত্যা দিবসের শপথ।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, জেলের ভেতরে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর আমাদের জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। দিনটি আমাদের ইতিহাসের এক কলঙ্কময় দিন। দেশকে পাকিস্তানি ধারায় পরিচালিত করতে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা দেশ থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল, জাতির পিতাকে যারা হত্যা করেছিল তারাই জেলহত্যার এ জঘন্য অপরাধের আসামি। তারা এসব হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে যারা ক্ষমতা করায়ত্ত করেছিল।
আলোচনায় যোগ দিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ৩ নভেম্বর আরও এক কলঙ্কিত দিন। জেলখানার মতো নিরাপদ স্থানে জাতীয় নেতাদের হত্যা ইতিহাসের নজিরবিহীন, মর্মান্তিক ঘটনা। নেতার প্রতি, আদর্শের প্রতি এমন আনুগত্যের নিদর্শন রেখে তাঁরা আমাদের জন্য শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার বার্তা দিয়ে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশগড়ার সংগ্রামে নিজেদের সর্বান্তকরণে নিয়োজিত করার মাধ্যমে নেতাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সংযুক্ত ছিলেন।
মন্তব্য করুন