রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়েছে। রোববার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গীতাঞ্জলি স্টুডিও থিয়েটারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের আয়োজনে এ নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়।
সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ইয়াতসিংহ শুভর সভাপতিত্বে নবান্ন উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ইতোমধ্যে মানুষের নজর কেড়েছে, বাঙালি সংস্কৃতি চর্চায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবেদন মানুষের অন্তর স্পর্শ করছে, সেটি আমাদের বড় প্রাপ্তি।
উপাচার্য আরও বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির সকল অংশেই নবান্নের প্রতিফলন আছে। বাংলা সাহিত্যেও নবান্নের বিস্তর প্রতিফলন পাওয়া যায়। পল্লী কবি জসীমউদদীন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং জীবনানন্দ দাশ নবান্নকে চির অম্লান করে গেছেন।
রবি উপাচার্য বলেন, যতদিন বাঙালি থাকবে বাঙালি সংস্কৃতি থাকবে নবান্নের আনন্দ আমাদের মাঝে থাকবে।
রবি উপাচার্য আরও বলেন, আমরা সকল ঋতুতেই নতুন নতুন বৈচিত্র্য খুঁজে পাই। প্রত্যেক ঋতুতেই আমাদের সংকল্প করতে হবে। নবান্নে মানুষ অনেক স্বপ্ন দেখে-নতুন পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখে। আপনাদেরও সেই স্বপ্ন দেখতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির বাংলাদেশের সূচনা করেন তা ব্যাহত করতে তৎপর একাত্তরের পরাজিত শক্তি। স্বাধীন বাংলাদেশেও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে আমরা দেখেছি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেছে। এর সঙ্গে বিদেশি ষড়যন্ত্রও আছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নবান্ন উৎসব থেকে আমরা ব্রত নিতে চাই- ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে সকল ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজিত করেছিলেন, তেমন করে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়তে আমরা নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের সকল ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করব।
নবান্ন উৎসবে নৃত্য ও গীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলাম, সংগীত বিভাগের শিক্ষকসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন