পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের এক জওয়ান নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাত জওয়ান। শনিবার (১০ মে) ভারত শাসিত কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাকিস্তান গোলাবর্ষণ করলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি আর এস পুরা সেক্টরে ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিএসএফের কর্মকর্তারা। খবর এনডিটিভির।
একজন সিনিয়র বিএসএফ অফিসার জানান, সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ সাহসের সাথে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনিসহ আরও সাতজন পাকিস্তানের গুলি ও গোলাবর্ষণে আহত হন। ইমতিয়াজের সহযোগী আহত সহকর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএসএফের জম্মু ফ্রন্টিয়ার একটি এক্স পোস্টে বলেছে, আমরা ১০ মে জম্মু জেলার আর এস পুরা এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রতিপক্ষের গুলি ও গোলাবর্ষণের সময় দেশের সেবায় অবস্থান নেই। এ সময় বিএসএফের সাহসী সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ নিহত হন। আমরা তার সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, বিএসএফের মহাপরিচালক এবং সকল পদমর্যাদার কর্মীরা নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
ইমতিয়াজের সম্মানে রোববার পালৌরায় বিএসএফের জম্মু ফ্রন্টিয়ার সদর দপ্তরে মালা অর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
বিএসএফ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত।
প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি ঘোষণা করেছেন, উভয় দেশের সামরিক অপারেশনের মহাপরিচালকরা শনিবার সন্ধ্যা ৫টা থেকে স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে সমস্ত গুলিবর্ষণ এবং সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু বিএসএফের জওয়ান নিহতের ঘটনা যুদ্ধবিরতির পর কিনা তা নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শনিবার (১১ মে) রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিক্রম মিশ্রি বলেন, গত কয়েক ঘণ্টা ধরে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনারাও এর উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। আমরাও এই লঙ্ঘনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি। এই লঙ্ঘন অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং এর জন্য দায়ী পাকিস্তান।
তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তানকে এই লঙ্ঘনের সমাধানের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি দায়িত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন