কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম
আপডেট : ১১ মে ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বিশ্লেষণ

যুদ্ধে ভারতের ক্ষতি ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের কত? 

জে-১০সি যুদ্ধবিমান। ছবি : পিএএফ
জে-১০সি যুদ্ধবিমান। ছবি : পিএএফ

মাত্র ৮৭ ঘণ্টায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত হয় ভয়াবহ ও বহুমাত্রিক যুদ্ধ। ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতের বিমানবাহিনী শুরু করে আকস্মিক হামলা, যার কোডনেম ছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানে অংশ নেয় রাফায়েল যুদ্ধবিমান, যেগুলো থেকে ছোড়া হয় স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল ও হ্যামার বোমা। ভারতের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ৯টি বেসামরিক এলাকা। একইসঙ্গে ভারত ড্রোন ব্যবহার করে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যাচাইয়ের চেষ্টা করে।

জবাবে পাকিস্তানও খুব দ্রুত পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। জে-১০সি যুদ্ধবিমান ও কোরাল ইলেকট্রনিক জ্যামার ব্যবহার করে পাকিস্তান আকাশে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের ৩টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং ১২টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান এবং শর্ট রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে।

তবে এই যুদ্ধ শুধু আকাশে হয়নি। সব চেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। মাত্র ৮৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিটের এই সংঘাতে ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারতের শেয়ারবাজার— নিফটি ও সেনসেক্স মিলিয়ে উবে যায় প্রায় ৮২ বিলিয়ন ডলার। উত্তর ভারতের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে বিমান চলাচলে। আইপিএল বন্ধ হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয় ৫০ মিলিয়ন ডলার। সামরিক ব্যয়ে যোগ হয় আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং যুদ্ধবিমান হারিয়ে ক্ষতি হয় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। লজিস্টিক ও বাণিজ্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে পাকিস্তানের মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৪ বিলিয়ন ডলার। করাচি শেয়ারবাজারে সূচক পড়ে গিয়ে ক্ষতি হয় ২.৫ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) বন্ধ থাকায় ক্ষতি হয় আরও ১০ মিলিয়ন ডলার। আকাশসীমা বন্ধ থাকায় ক্ষতি হয়েছে ২০ মিলিয়ন ডলার, আর সামরিক খাতে প্রতিদিন ২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পাশাপাশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যয় হয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার।

এই যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে, আধুনিক যুগে যুদ্ধ মানে শুধু বোমা, ট্যাংক আর যুদ্ধবিমান নয়। এখন যুদ্ধ মানেই শেয়ারবাজারে ধস, বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানো, বৈদেশিক বিনিয়োগে স্থবিরতা এবং সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক দুর্দশা। ঘণ্টায় এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি— এটি প্রমাণ করে, সীমিত সময়েও সংঘর্ষ দুই দেশের অর্থনীতিকে কতটা ঝাঁকুনি দিতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধের আসল শক্তি এখন আর শুধু সামরিক নয়; বরং অর্থনীতি, প্রযুক্তি ও মনস্তত্ত্বের ওপর নির্ভরশীল। এই সংঘর্ষের মূল বার্তা— প্রতিরোধই প্রকৃত কৌশল।

তথ্যসূত্র : ইন্টারন্যাশনাল দ্য নিউজ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ

থানায় ককটেল নিক্ষেপ, ৩ পুলিশ আহত

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগে মধ্যরাতে হামজার পোস্ট

‘আই ডোন্ট কেয়ার’ লেখা ফটোকার্ড পোস্ট, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে থানায় সোপর্দ

ইতালিতে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ভুক্তভোগীদের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’: জাতিসংঘ

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত যে ৩২ দলের

‘হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় যেদিন কার্যকর হবে, সেদিন আমি আনন্দিত হবো’

সাবেক এমপি হারুনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের

সড়ক অবরোধের অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতা আটক

১০

দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির

১১

আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ

১২

রায়ে ‘ন্যায় বিচার’ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

১৩

বর্ষসেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ, আছেন যারা

১৪

শেখ হাসিনার মামলার পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী

১৫

গাজীপুর জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু

১৬

ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় মা-ছেলেকে পেটাল গ্রাম পুলিশ

১৭

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান মারা গেছেন

১৮

নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত সংকট দূর হবে না : কফিল উদ্দিন

১৯

পটুয়াখালীতে বিএনপির প্রস্তাবিত নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ

২০
X