আলকামা রমিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩, ১০:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খুবি শিক্ষার্থীদের গবেষণা : একই ধানগাছে দুবার ফলন

মুড়ি ধান। ছবি : কালবেলা
মুড়ি ধান। ছবি : কালবেলা

একই ধানগাছ থেকে দুবার ধান উৎপাদন করে সাফল্য পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই শিক্ষার্থী। প্রায় দুই বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সম্প্রতি সফল হয়েছেন তারা। আর এই কাজে তাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রো-টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. মতিউল ইসলাম।

ধান কাটার পর গাছের গোড়া থেকে আবারও ধান উৎপাদনের এই প্রযুক্তিকে বলা হয় ‘রেটুন ক্রপ’। মুড়ি ধান বা ‘রেটুনিং’ চাষের কার্যকারিতা অনুসন্ধানের জন্য ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে খুলনার বটিয়াঘাটায় মাঠ পরীক্ষা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই দুই শিক্ষার্থী। তারা হলেন- সৈয়দ সাজিদুল ইসলাম ও মো. তানজিমুল ইসলাম।

গবেষণায় দেখা গেছে, আমন রোপণের আগে ও বোরো কাটার পর ৪৫ থেকে ৭০ দিন জমি পতিত থাকে। এ পদ্ধতিতে ধানগাছ নির্দিষ্ট উচ্চতায় কেটে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে সামান্য পরিমাণে সেচ এবং সার প্রয়োগ করে দুবার ফলন পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া অল্প মাত্রায় কীটনাশক ছিটিয়ে মাত্র ৩৫ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে একই জমি থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে মূল ফসলের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। ফলে বোরো ধান কাটার পর বর্ষা বা বন্যা আসার আগেই দ্বিতীয় পর্যায়ের ফলন ঘরে তুলতে পারবেন কৃষক।

গবেষণার বিষয়ে সৈয়দ সাজিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন ব্যাহত হয়। কিন্তু খাদ্যের চাহিদা পূরণে ধানের উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। ফলে উৎপাদন বাড়ানোর একটি উপায় হিসেবে মুড়ি ধান চাষের ওপর গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে গবেষকরা জানান, এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই উপযোগী পদ্ধতি; বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য। এ অঞ্চলে আমন মৌসুম আসার আগেই বোরোর রেটুনিং থেকে ফলন তুলে ফেলা সম্ভব। তবে লবণের মাত্রা বেশি হলে এই পদ্ধতিতে ফলন পাওয়া যাবে না।

মূলত পাঁচটি ভ্যারাইটিজ নিয়ে কাজ করছেন এই গবেষকরা। দ্বিতীয় ধাপে বড় পরিসরে আরও চারটি অঞ্চলে কাজ শুরু করেছেন তারা।

মূল ফসলের অতিরিক্ত প্রায় ৫০ ভাগ পর্যন্ত ফলন হতে পারে এমন আশার কথা জানান গবেষক সৈয়দ সাজিদুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, মুড়ি ধান চাষের সফলতা নির্ভর করে মূল ফসলের পরিচর্যার ওপর। তারা দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করেছেন। এতে কৃষকদের জন্য ভালো কিছু আসছে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুবির অ্যাগ্রো-টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. মতিউল ইসলাম বলেন, বোরো মৌসুমে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা একটি নতুন বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা। এ গবেষণায় এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঝকঝকে দাঁত পেতে কতটুকু মাজন প্রয়োজন? যা বলছেন চিকিৎসকরা

কেরানীগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে অগ্নিসংযোগ

১৭ বছর পর তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতে যে কথা হলো চসিক মেয়রের

ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন কালবেলার শেখ হারুন

তিন ম্যাচে ২৬ গোল হজম করে বাংলাদেশের লজ্জার সমাপ্তি

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জরুরি সতর্কবার্তা

অবশেষে শাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা

মার্কিন এফ-৩৫ পেতে সৌদির ওপর ইসরায়েল নিয়ে কঠিন শর্ত

১৮ ডিসেম্বর মেহজাবীনের জবাব দাখিলের নির্দেশ আদালতের

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা

১০

আল্লাহর গজবের কারণেই হাসিনার পতন হয়েছে : কাদের সিদ্দিকী

১১

‘আমি একনায়ক নই’—ড্রেসিং রুম বিতর্কে জ্যোতি দিলেন পরিষ্কার জবাব

১২

পরিবেশের নিয়ম মানা নিয়ে টম-জেরি খেলা হয় : রিজওয়ানা হাসান

১৩

ইউআইইউতে আউটকাম-বেসড এডুকেশন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

১৪

দেশের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের উদ্যোগ

১৫

এমইউজে খুলনার নতুন সভাপতি রাশিদুল, সাধারণ সম্পাদক রানা

১৬

‎সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ২০

১৭

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ স্থানীয় নিয়োগকর্তা গ্রেপ্তার

১৮

‘সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার আত্মপ্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ

১৯

জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই খাদিজা

২০
X