দুপুরের সংঘর্ষের রেশ শেষ কাটতে না কাটতেই আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ। গ্রুপ দুইটি হলো শাহ জালাল হলের 'সিক্সটি নাইন' ও শাহ আমানত হলের 'সিএফসি'।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার দিকে শাহ জালাল হল ও শাহ আমানত হলের মধ্যবর্তী স্থানে শুরু হয় এ সংঘর্ষ। এ সময় উভয় পক্ষকে নিজ নিজ হলের সামনে অবস্থান করে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও পরস্পরের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। সিএফসির কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সিক্সটি নাইন পক্ষের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চবির 'কালাম স্টেশনের' সামনে সিএফসির কর্মী (২০-২১)সেশনের শিক্ষার্থী ফাহিমকে সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে মারধর করে সিক্সটি নাইনের কয়েকজন কর্মী। এরই জের ধরে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের উপগ্রুপ দুটি।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সিএফসির নেতা সাদাফ খান বলেন, তাদের (সিক্সটি নাইন) অনুসারীরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ লাগানোর জন্য আমাদের এক জুনিয়রকে মারধর করেছে। সেটা থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, আজকে দুপুরেও দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। রাতে আবারও সংঘষে জড়িয়েছে আরও দুটি গ্রুপ। দুপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাতের ঘটনাও একই তদন্ত কমিটির হাতে দেওয়া হবে। বর্তমানে উভয়পক্ষ নিজ নিজ হলে অবস্থান করছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অতিরিক্ত ৩০ জনসহ মোট ৫৩ জন পুলিশ ক্যাম্পাসে মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে দুইটা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও বিজয়ের(সোহরাওয়ার্দী হল) কর্মীদের মধ্যে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। চারজনকে গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন