কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সশস্ত্র বাহিনীতে চাকরির সুযোগ চান কওমির শিক্ষার্থীরা 

ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতকালে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। ছবি : কালবেলা
ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতকালে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। ছবি : কালবেলা

সশস্ত্র বাহিনীতে চাকরি চান কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমান) সনদধারীরা। একই সঙ্গে মসজিদে ইমাম ও খতিব, কারাগারে ধর্মীয় শিক্ষক, নিকাহ রেজিস্ট্রারসহ (কাজি) সরকারি ও বেসরকারি খাতে চাকরির সুযোগ চেয়েছেন তারা।

সোমবার (৫ মে) দুপুরে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কওমি মাদ্রাসা বোর্ড জানিয়েছে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এই দাবি জানায়।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির কো-চেয়ারম্যান আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমান। বৈঠকে দাওরায়ে হাদিস সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

এ সময় তারা বলেন, কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমান) সনদধারীদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতে চাকরির সুযোগ এবং দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

প্রস্তাবনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মসজিদে ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ, সশস্ত্র বাহিনী ও কারাগারে ধর্মীয় শিক্ষক পদে নিয়োগ এবং নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) পদে নিয়োগের সুযোগ প্রদান।

এর আগে, একই দিন বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত ‘দাওরায়ে হাদিস সনদ কার্যকর বিষয়ক সাবকমিটি’র বৈঠকে এসব সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়। আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান মুহিউস্সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরা ‘ইসলামিক স্টাডিজ’ ও ‘আরবি’ বিষয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমফিল ও পিএইচডি করার সুযোগ পাবেন। একইসঙ্গে ‘ইসলামিক স্টাডিজ’ ও ‘আরবি’ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।

সভায় কওমি মাদ্রাসার স্বকীয়তা ও স্বাধীনতা বজায় রাখার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। দারুল উলুম দেওবন্দের আটটি মূলনীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করার কথা বলা হয় এবং সরকারকে কওমি শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানানো হয়।

সাবকমিটির বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুফতি আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মুছলেহ উদ্দিন রাজু, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী এবং মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ আল ফরীদী।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুনে এলো তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে আর নেই : জয়া আহসান

গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ

যে খাবারগুলো ইচ্ছেমতো খেলেও বাড়বে না ওজন

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৯০০ ফুট নিচে নেমেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান

সংস্কারের কথা সবার আগে আমরাই বলেছি : মির্জা ফখরুল

আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসসহ আসামি ৩৮

৪৪তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে দেশসেরা শরীফ খান

মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ড : ফজর আলীর ছোট ভাইকে খুঁজছে পুলিশ 

মোস্তাফিজকে নিয়ে লঙ্কান শিবিরে বাড়তি সতর্কতা

১০

রাবিতে সিওআইবির সহযোগিতায় অভিযান, আট প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১১

বিএনপির দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ৪০

১২

মার্কিন নৌবাহিনী ও ঘাঁটিতে গোপন মিশন, অতঃপর...

১৩

মার্কিন সহায়তা বন্ধে মৃত্যু ঝুঁকিতে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ

১৪

গুমের শিকার পারভেজের মেয়ের আকুতিতে কাঁদলেন তারেক রহমান

১৫

মুরাদনগরের সেই নারীর পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিএনপি

১৬

‘ত্যাগের বিনিময়ে আমরা বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি’

১৭

ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময় : তারেক রহমান

১৮

‘আবু সাঈদের নামে দিবস দিতে সমস্যা কোথায়?’ 

১৯

শহীদের চেতনায় দেশকে উপলব্ধি করার আহ্বান তারেক রহমানের

২০
X