দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে গতিশীল করতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের ৩৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদ দ্রুত পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। দীর্ঘদিনের শূন্যতার কারণে শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকারের এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকের পদ অনুমোদিত থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৩১ হাজার ৩৯৬ জন। এর ফলে সারা দেশে প্রধান শিক্ষকের ৩৪ হাজার ১০৬টি পদ শূন্য রয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই শূন্যপদগুলোর মধ্যে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের সংখ্যা ২ হাজার ৬৪৭টি। এর ১০% পদ সংরক্ষণ করে অবশিষ্ট ২ হাজার ৩৮২টি পদে সরাসরি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ে (পিএসসি) এ বিষয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে এবং শীঘ্রই পিএসসি কর্তৃক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
এ ছাড়া জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের গ্রেডেশন সংক্রান্ত ৭৩/২০২৩ নং সিভিল আপিল মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরপরই সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির মাধ্যমে ৩১ হাজার ৪৫৯টি শূন্যপদ পূরণ করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জনবল সংকট নিরসন হবে এবং শিক্ষা কার্যক্রম আরও উন্নত ও গতিশীল হবে। সরকারের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করতে সহায়ক হবে বলে মন্ত্রণালয় প্রত্যাশা করছে।
মন্তব্য করুন