বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর এক শিক্ষার্থীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বুয়েট ক্যাম্পাস। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাত ১১টা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েকশ শিক্ষার্থী।
বিক্ষোভকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এক মুসলিম ছাত্রীকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ধর্ষণ এবং পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে বিষয়টি নিয়ে গর্ব করেন শ্রীশান্ত। এছাড়া তিনি বোরকা, হিজাব ও নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। এসব ঘটনার স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বুয়েট ক্যাম্পাসে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও বুয়েট সূত্রে জানা গেছে, আহসান উল্লাহ হলের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। রাত ২টা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান ছিল।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান জানান, আহসান উল্লাহ হলের ওই শিক্ষার্থীর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা তার বহিষ্কারসহ কঠোর শাস্তির দাবি করছেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বর্তমানে বুয়েট প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছেন।
ওসি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে আগের দিন (সোমবার)ও শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কোনো অভিযোগ বা মামলা হলে, আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশরাফুজ্জামান আরও জানান, আহসান উল্লাহ হল চকবাজার থানায় পড়লেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভস্থল শাহবাগ থানার আওতায় পড়েছে। তারপরও তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
মন্তব্য করুন