প্রতিবছরের মতো এবারও ইংরেজি মাধ্যম ও ইংরেজি ভার্সন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড। সারা দেশের শতাধিক স্কুলের দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এবারের ত্রয়োদশ আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি।
এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উত্তরায় ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল প্রাঙ্গণে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় প্রতিযোগিরা রচনা লেখা, আবৃত্তি, নাচ, গান, অঙ্কন, কুইজ এবং উপস্থিত বক্তৃতা বিষয়ে বয়সভেদে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশ নেবে। এ বছরও অন্যান্যবারের মতো এ প্রতিযোগিতার উপদেষ্টা ও বিচারক হিসেবে রয়েছেন শিক্ষাবিদ-লেখক-শিল্পীরা।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় আয়োজক ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল রোকসানা জারিন, ভাইস প্রিন্সিপাল গাহরিমান আল্লামিরাদত্ত, বাংলা অলিম্পিয়াডের সমন্বয়ক কামরুল আহসান, স্কুলের শিক্ষক ইমাম হোসেন, আবুল কাশেম, মো. মিজানুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলা অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এবার বাংলা অলিম্পিয়াডের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা অলিম্পিয়াডের উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. হাকিম আরিফ ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন।
ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল রোকসানা জারিন বলেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের ইংরেজি মাধ্যম ও ইংরেজি ভার্সন স্কুলগুলো ভাষার মাসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। ভাষার মাসে বাংলা ভাষা নিয়ে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অনুষ্ঠানমালায় এটিই দেশের সবচেয়ে বড় আয়োজন। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিচর্চায় ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরাও এখন অনেক অগ্রসর, বাংলা অলিম্পিয়াড এটাই প্রমাণ করে।
বাংলা অলিম্পিয়াডের সমন্বয়ক কামরুল আহসান বলেন, ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে বাংলা অলিম্পিয়াড দেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে আয়োজিত বাংলা অলিম্পিয়াড দেশের ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জীবন ও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাদের যে ভীতি ও বিতৃষ্ণা ছিল, সেটা বাংলা অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে অনেকটাই কেটে গেছে।
মন্তব্য করুন