আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজের জবাব দিতে নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হলেও শোকজের জবাব প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেননি আমির হোসেন আমু। তিনি ঝালকাঠি-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী।
বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার কিছু আগে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করেন। বিকেল ৩টা ১৭ মিনিটে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ছাড়েন। চলে যাওয়ার সময় তিনি (আমু) কমিশনে কী জবাব দিয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘নো কমেন্টস’। এসময় সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে গাড়ির গ্লাস বন্ধ করেই দ্রুত নির্বাচন কমিশন ছাড়েন তিনি।
এর আগে আমুকে শোকজের বিষয়ে ইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঝালকাঠি জেলা পাকহানাদার মুক্ত দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে নলছিটি উপজেলা পরিষদ হলরুমে ৮ ডিসেম্বর সকালে এবং ঝালকাঠি পৌরসভার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বিকেলে সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে আসন্ন নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী আমির হোসেন আমুকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে একটি ভ্রমণসূচি জারি করা হয়।
উল্লিখিত ভ্রমণসূচির পরিপ্রেক্ষিতে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আমির হোসেন আমুকে জানিয়েছিলেন যে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের একজন মনোনীত প্রার্থী। অধিকসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা হলে তা জনসভায় পরিণত হতে পারে এবং ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’-এর লঙ্ঘন হতে পারে।
আচরণবিধি লঙ্ঘন না হলেও এ ধরনের জনসমাগম গণমাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। এরপরও তিনি জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন এবং তার পক্ষে ভোট চেয়েছেন, যার ভিডিও এবং স্থিরচিত্র বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমির হোসেন আমুকে এর আগে আচরণবিধি সম্পর্কে অবহিত করা সত্ত্বেও ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের তিন সপ্তাহের আগে নির্বাচনী প্রচারসহ আচরণবিধি পরিপন্থি কার্যক্রমের জন্য কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করে।’
মন্তব্য করুন