আদালতে শুনানিতে তোলার সময় হ্যান্ডকাপে হাত কেটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর। এরপর তাকে আদালতের অনুমতি নিয়ে ব্যান্ডেজ করে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৮ মর) সকালে কারাগার থেকে আমুকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর সকাল ১০ টার দিকে যাত্রাবাড়ীতে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় শুনানির জন্য তাকে হাতে হ্যান্ডকাপ, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালতে তোলা হয়।
বয়স্ক ও অসুস্থ হওয়ায় একা চলাচলে অনেকটায় অক্ষম আমির হোসেন আমুকে ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য মিলে নিয়ে যান। তবে সিঁড়িতে উঠতে বেগ পান পুলিশ সদস্যরা। উঠতে পারছিলেন না আমু। পরে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য যোগ হয়ে তাকে এজলাসে নিয়ে যান।
কাঠগড়ায় তোলার পর দেখা যায় তার হাত কেটে রক্ত বের হচ্ছে। এসময় টিস্যু দিয়ে রক্ত মোছেন আমু। রক্তে টিস্যু ভিজে যায়। কাঠগড়ায় আমু বসার জন্য আদালতের কর্মচারীদের কাছে একটা টুল চান। তবে কেউ কর্ণপাত করেননি। কিছুক্ষণ পর আবারও একটা টুল চান সাবেক এই মন্ত্রী। তখন আদালতের একজন একটা টুল দিতে এগিয়ে আসেন। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে থামিয়ে দেন।
পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের একজন বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে টুল দিতে হবে। এরপর আইনজীবী মহসিন রেজা আমুর বসার জন্য একটা টুলের ব্যবস্থা করতে প্রার্থনা জানান। আদালত বসার জন্য টুলের ব্যবস্থা করতে বলে। পরবর্তীতে আমু তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন। আইনজীবী তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তার কাছে কোরবানির বিষয়ে জানতে চান। তিনি আইনজীবীকে বলেন, পারিবারিকভাবে যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে হাত কেটে যাওয়ায় আদালতের অনুমতি নিয়ে আমুর আইনজীবী মো. মহসিন রেজা পলাশ নিজে আমুর হাতে স্যাভলন দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেন।
আইনজীবী মো. মহসিন রেজা পলাশ কালবেলাকে বলেন, আমিরু হোসেন আমুকে হাজতখানা থেকে আদালতে নেওয়ার পথে হ্যান্ডকাপের ধারালো অংশের আঘাতে তার নখ কেটে যাই। তিনি টিস্যু দিয়ে রক্ত বন্ধ করে রাখেন। রক্তে টিস্যু ভিজে যায় পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে তার হাতে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমএম আদালতের হাজতখানার উপপরিদর্শক কামরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। উনি পেছনে ছিলেন, আমি সামনে থাকার কারণে বিষয়টি খেয়াল করতে পারিনি।
এদিকে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আদালত আমুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। গ্রেপ্তার দেখানো মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২০ জুলাই বিকালে যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন লাভলু নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ২০ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন তিনি।
মন্তব্য করুন